ঢাকা 10:12 pm, Monday, 13 October 2025

পিআর পদ্ধতিসহ পাঁচ দফা দাবীতে চাঁদপুর শহর জামায়াতের গোল টেবিল বৈঠক

চাঁদপুরে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করাসহ পাঁচ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে গোল টেবিল বৈঠক

চাঁদপুরে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করাসহ পাঁচ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহর শাখা।

বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, গণ অধিকার পরিষদ, গণফোরাম, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও পেশাজীবী সংগঠনের লোকজ অংশগ্রহণ করে।

পিআর পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা, সুবিধা ও সমস্যার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের শুরা সদস্য ও জেলা আমির মাওলানা বিলাল হোসেন মিয়াজী, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া, গণফোরামের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর, ইসলামী আন্দোলন জেলা সভাপতি মাওলানা মাকছুদুর রহমান, ইসলামিক লয়ার্স কাউন্সিল জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট নঈমুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. কাজী রাসেল, খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি মাওলানা তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, এনসিপির জেলা সমন্বয়ক মো. মাহবুবুর রহমান।

জলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী বক্তব্যে বলেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে। প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হবে না। এর কারণ হচ্ছে তখন ব্যাক্তিকে নয়, দল কিংবা প্রতীককে ভোট দিবে। রাজনৈতিক হানাহানি বন্ধ হবে, কারণ রাজনৈতিক বাকযুদ্ধ হবে সংসদে। তখন আর রাজপথে কথা বলার প্রয়োজন হবে না।

তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে দেশের যোগ্য লোকের নেতৃত্বে আসবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, তাদের মূল কাজ কী। তাদের মূল কাজ হচ্ছে দেশ পরিচালনা করার জন্য আইন তৈরী করা। এখানে প্রশ্ন থেকে যায়, তাহলে উন্নয়ন কাজ করবে কে? উন্নয়ন কাজ করবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। বিগত দিনে এমপিদের প্রভাবের কারণে জনপ্রতিনিধিরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি।

এই নেতা বলেন, এসব বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে জামায়াতে ইসলামী পিআরসহ পাঁচ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে কর্মসূচি পালন করছে। আশা করছি এদেশে পিআর পদ্ধতি ফিরে আসবে। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এক সময় নানা কথা হয়েছে। কিন্তু এক পর্যায়ে রাতের ঘুম বাদ দিয়ে ওই পদ্ধতি চালু হয়।

বিল্লাল হোসেন মিয়াজী বলেন, সেনাকর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। এটি কোন আনন্দের বিষয় নয়, এটি একটি বিচারিক প্রক্রিয়া। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এই সুযোগে যাতে কোন ফ্যাসিবাদ বেরিয়ে আসার সুযোগ না পায়।

শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে ও সহ সেক্রেটারী মো. সবুজ খানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন সিনিয়র আইনজীবী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হিল বাকী, সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মিলন, শাহাদাত হোসেন শান্ত, মাহবুবুর রহমান সুমন, আবদুল আউয়াল রুবেল, আইনজীবী সালেহ আহমদ সহ বিভিন্ন পেশার ব্যাক্তিবর্গ।

বক্তারা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে পিআর পদ্ধতি চালু রয়েছে। তবে আমাদের দেশে গত ৫ আগস্টের পর এই পদ্ধতি আলোচনায় আসে। নানা মাধ্যমে এই বিষয়টি সাধারণ মানুষের সামনে উপস্থাপন হচ্ছে। পিআর পদ্ধতি চালু হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে হিসাব কী রকম হবে। এসব বিষয়গুলো নিয়ে আরো আলোচনা ও মতামত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যাতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যাহত না হয় এই বিষয়ের ওপর বক্তারা গুরুত্ব দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

হাজীগঞ্জে পৌর তিনটি ওয়ার্ডে তরুণ ভোটারদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা

পিআর পদ্ধতিসহ পাঁচ দফা দাবীতে চাঁদপুর শহর জামায়াতের গোল টেবিল বৈঠক

Update Time : 09:41:52 pm, Saturday, 11 October 2025

চাঁদপুরে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করাসহ পাঁচ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহর শাখা।

বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, গণ অধিকার পরিষদ, গণফোরাম, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও পেশাজীবী সংগঠনের লোকজ অংশগ্রহণ করে।

পিআর পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা, সুবিধা ও সমস্যার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের শুরা সদস্য ও জেলা আমির মাওলানা বিলাল হোসেন মিয়াজী, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া, গণফোরামের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর, ইসলামী আন্দোলন জেলা সভাপতি মাওলানা মাকছুদুর রহমান, ইসলামিক লয়ার্স কাউন্সিল জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট নঈমুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. কাজী রাসেল, খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি মাওলানা তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, এনসিপির জেলা সমন্বয়ক মো. মাহবুবুর রহমান।

জলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী বক্তব্যে বলেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে। প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হবে না। এর কারণ হচ্ছে তখন ব্যাক্তিকে নয়, দল কিংবা প্রতীককে ভোট দিবে। রাজনৈতিক হানাহানি বন্ধ হবে, কারণ রাজনৈতিক বাকযুদ্ধ হবে সংসদে। তখন আর রাজপথে কথা বলার প্রয়োজন হবে না।

তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে দেশের যোগ্য লোকের নেতৃত্বে আসবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, তাদের মূল কাজ কী। তাদের মূল কাজ হচ্ছে দেশ পরিচালনা করার জন্য আইন তৈরী করা। এখানে প্রশ্ন থেকে যায়, তাহলে উন্নয়ন কাজ করবে কে? উন্নয়ন কাজ করবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। বিগত দিনে এমপিদের প্রভাবের কারণে জনপ্রতিনিধিরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি।

এই নেতা বলেন, এসব বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে জামায়াতে ইসলামী পিআরসহ পাঁচ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে কর্মসূচি পালন করছে। আশা করছি এদেশে পিআর পদ্ধতি ফিরে আসবে। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এক সময় নানা কথা হয়েছে। কিন্তু এক পর্যায়ে রাতের ঘুম বাদ দিয়ে ওই পদ্ধতি চালু হয়।

বিল্লাল হোসেন মিয়াজী বলেন, সেনাকর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। এটি কোন আনন্দের বিষয় নয়, এটি একটি বিচারিক প্রক্রিয়া। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এই সুযোগে যাতে কোন ফ্যাসিবাদ বেরিয়ে আসার সুযোগ না পায়।

শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে ও সহ সেক্রেটারী মো. সবুজ খানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন সিনিয়র আইনজীবী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হিল বাকী, সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মিলন, শাহাদাত হোসেন শান্ত, মাহবুবুর রহমান সুমন, আবদুল আউয়াল রুবেল, আইনজীবী সালেহ আহমদ সহ বিভিন্ন পেশার ব্যাক্তিবর্গ।

বক্তারা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে পিআর পদ্ধতি চালু রয়েছে। তবে আমাদের দেশে গত ৫ আগস্টের পর এই পদ্ধতি আলোচনায় আসে। নানা মাধ্যমে এই বিষয়টি সাধারণ মানুষের সামনে উপস্থাপন হচ্ছে। পিআর পদ্ধতি চালু হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে হিসাব কী রকম হবে। এসব বিষয়গুলো নিয়ে আরো আলোচনা ও মতামত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যাতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যাহত না হয় এই বিষয়ের ওপর বক্তারা গুরুত্ব দেন।