ঢাকা ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরার প্রস্তুতি

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৬৫ Time View

সাগর থেকে নদীর মিঠা পানিতে নিরাপদে ডিম ছাড়ার জন্য ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে ২৫ অক্টোবর মধ্য রাতে। এরই মধ্যে চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় জেলেরা ইলিশ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার সময় অবসর জেলেদের সময় ভালো কাটেনি। সরকারি সহায়তা পেলেও তা ছিলো খুবই কম। তারপরেও আবার নতুন করে জাল নিয়ে নদীতে নামবেন। মৎস্য বিভাগ বলছে এবারের অভিযান কঠোর হয়েছে। যার ফলে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সরেজমিন মেঘনা উপকূলীয় এলাকা ঘুরে দেখাগেছে জেলেদের ইলিশ ধরার ব্যস্ততা। এসব এলাকার বেশিরভাগই লোকজন ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে এজন্য শহরের যমুনা রোড, টিলাবাড়ি, পুরান বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, বহরিয়া ও হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় অধিকাংশ জেলে জাল এবং নৌকা মেরামত করছে। ইলিশ ধরার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সরগরম হয়ে উঠেছে প্রতিটি মহল্লা। এখন শুধু কাঙ্খিত ইলিশ ধরার অপেক্ষা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানাগেছে, জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য অভয়াশ্রম এলাকা ঘোষণা করা হয়। এসব এলাকায় নিবন্ধিত জেলে পরিবার হচ্ছে প্রায় ৪৫হাজার ৬শ’ ১৫। এসব জেলেদের ২২ দিনের জন্য ২৫ কেজি করে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল দিয়েছে সরকার।

ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের জেলে মফিজুল ইসলাম ও শওকত হোসেন বলেন, আগের তুলনায় জেলে সংখ্যা বেড়েছে। যার ফলে ইলিশ কম পাওয়া যায়। জ¦ালানি খরচ বেশি। ইলিশ কম পেলে লোকসান গুনতে হয়। তারপরেও ইলিশ প্রাকৃতিক সম্পদ পাওয়ার আশা নিয়ে নদীতে নামব

লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের রামদাসদী গ্রামের জেলে আকবর খান ও শামছুদ্দিন বলেন, গত ২২ দিন খুবই কষ্টের মধ্যে সংসার চলেছে। ২৫ কেজি চাল দিয়ে বর্তমান বাজারে কিছুই হয় না। জাল ও নৌকা প্রস্তুত করেছেন। নদীতে নামবেন। ইলিশ পেলে চলবে তাদের সংসার।

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের ২২ দিনের অভিযান কঠোর হয়েছে। যার ফলে ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়তে পেরেছে। ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে গত ৪ অক্টোবর শুরু হয় নিষেধাজ্ঞা। এ সময় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে ২১ দিনে ৯৪জন জেলে আটক করে। জাল জব্দ হয় সাড়ে ৫ লাখ মিটার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শাহরাস্তিতে বিজয় মেলার শুভ উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ

নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরার প্রস্তুতি

Update Time : ১০:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

সাগর থেকে নদীর মিঠা পানিতে নিরাপদে ডিম ছাড়ার জন্য ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে ২৫ অক্টোবর মধ্য রাতে। এরই মধ্যে চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় জেলেরা ইলিশ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার সময় অবসর জেলেদের সময় ভালো কাটেনি। সরকারি সহায়তা পেলেও তা ছিলো খুবই কম। তারপরেও আবার নতুন করে জাল নিয়ে নদীতে নামবেন। মৎস্য বিভাগ বলছে এবারের অভিযান কঠোর হয়েছে। যার ফলে ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সরেজমিন মেঘনা উপকূলীয় এলাকা ঘুরে দেখাগেছে জেলেদের ইলিশ ধরার ব্যস্ততা। এসব এলাকার বেশিরভাগই লোকজন ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে এজন্য শহরের যমুনা রোড, টিলাবাড়ি, পুরান বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, বহরিয়া ও হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় অধিকাংশ জেলে জাল এবং নৌকা মেরামত করছে। ইলিশ ধরার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সরগরম হয়ে উঠেছে প্রতিটি মহল্লা। এখন শুধু কাঙ্খিত ইলিশ ধরার অপেক্ষা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানাগেছে, জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য অভয়াশ্রম এলাকা ঘোষণা করা হয়। এসব এলাকায় নিবন্ধিত জেলে পরিবার হচ্ছে প্রায় ৪৫হাজার ৬শ’ ১৫। এসব জেলেদের ২২ দিনের জন্য ২৫ কেজি করে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল দিয়েছে সরকার।

ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের জেলে মফিজুল ইসলাম ও শওকত হোসেন বলেন, আগের তুলনায় জেলে সংখ্যা বেড়েছে। যার ফলে ইলিশ কম পাওয়া যায়। জ¦ালানি খরচ বেশি। ইলিশ কম পেলে লোকসান গুনতে হয়। তারপরেও ইলিশ প্রাকৃতিক সম্পদ পাওয়ার আশা নিয়ে নদীতে নামব

লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের রামদাসদী গ্রামের জেলে আকবর খান ও শামছুদ্দিন বলেন, গত ২২ দিন খুবই কষ্টের মধ্যে সংসার চলেছে। ২৫ কেজি চাল দিয়ে বর্তমান বাজারে কিছুই হয় না। জাল ও নৌকা প্রস্তুত করেছেন। নদীতে নামবেন। ইলিশ পেলে চলবে তাদের সংসার।

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের ২২ দিনের অভিযান কঠোর হয়েছে। যার ফলে ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়তে পেরেছে। ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে গত ৪ অক্টোবর শুরু হয় নিষেধাজ্ঞা। এ সময় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে ২১ দিনে ৯৪জন জেলে আটক করে। জাল জব্দ হয় সাড়ে ৫ লাখ মিটার।