মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের মূল্যবোধকে ধারণ করে একটি উন্নত, মানবিক ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করতে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইউনাইটেড পার্টি (বিইউপি)।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দলটি আত্মপ্রকাশ করে।
এতে বক্তব্য রাখেন দলের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন প্রধানীয়া ও মহাসচিব আমিনুল ইসলাম।
জাকির হোসেন একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি অস্ট্রেলিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে হোটেল ব্যবসায় জড়িত। তার গ্রামের বাড়ী চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার কালোচোঁ উত্তর ইউনিয়নের তারাপল্লা গ্রামে।
তারা বলেন, নবগঠিত দলটির মূল লক্ষ্য হলো মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া, জনগণের অধিকার সংরক্ষণ করা, অর্থনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন নিশ্চিত করা, একটি উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন করা। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতির গৌরবজনক ইতিহাসকে সমুন্নত রাখতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।
সংগঠনটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়, ১. ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস যথাযথভাবে সংরক্ষণ, মূল্যায়ন, সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ২. জুলাই যোদ্ধা, চব্বিশের শহীদ ও আহতদের যথাযথ মূল্যায়ন ও তাদের প্রাপ্য মর্যাদা নিশ্চিত করা। ৩. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে আধুনিক ও যুগোপযোগী বিচারালয় গড়ে তোলা। ৪. এই জনপদের হাজার বছরের সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে ধারণ, লালন করে আমাদের নিজস্ব জাতীয়তাকে বিকশিত করা। ৫. দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সর্বদা অবিচল থাকা। ৬. প্রকৃত গণতান্ত্রিক চর্চা ধারাকে সমুন্নত ও প্রতিষ্ঠিত করা। ৭. মানবাধিকার, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সকল ধর্মের সমমর্যাদা নিশ্চিত করা। ৮. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের মাধ্যমে বেকারত্ব ও দারিদ্র দূরীকরণ। ৯. আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যুগোপযোগী প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। ১০. দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা। ১১. দেশ পুনর্গঠনে নারীদের অংশগ্রহণ ও যথোপযুক্ত স্থানে যুক্ত করা, তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সকল কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমঅধিকার সংরক্ষণ করা। ১২. পরিবেশের সুরক্ষা ও আন্তর্জাতিক টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা। ১৩. যুব সমাজকে সৃজনশীল কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। ১৪. ‘প্রবাসী সুরক্ষা নীতিমালা’ প্রণয়ন, বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সব ধরনের সুরক্ষা সহ তাদের ভোটাধিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ১৫. দেশের স্বার্থে বলিষ্ঠ বৈদেশিক পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা। ১৬. দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ও কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করা। ১৭. গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করা ও তাদের সুরক্ষা প্রদানে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ১৮. কৃষক, শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের কল্যাণ ও তাদের যথাযথ মূল্যায়ন ও তাদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করা।
অনুষ্ঠানের দলটির দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক : 





















