চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মুক্তা আক্তার (৩২) ও নাজিম উদ্দিন (৪২) নামের দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মুক্তা আক্তারর নামের ওই গৃহবধূর মরদেহ হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ও দুপুরে নাজিম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর রেলওয়ে পুলিশ।মুক্তা আক্তার হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন মকিমাবাদ এলাকার মোল্লা বাড়ির মুরাদ হোসেন পাভেলের স্ত্রী ও মো. নাজিম উদ্দিন কুমিল্লা জেলার লাকসাম পৌরসভাধীন কুন্দ্রা এলাকার ছালামত আলীর ছেলে।
জানা গেছে, এদিন সকাল ৮-১০টার মধ্যে মকিমাবাদ এলাকায় নিজ বাসার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন গৃহবধূ মুক্তা আক্তার। খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহতের স্বামী জানান, শশুর বাড়ির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা ও মানসিকভাবে হাতাশগ্রস্ত ছিলেন মুক্তা আক্তার।
তবে মুক্তা আক্তারের মা’সহ তার পরিবারের সদস্যরা সংবাদকর্মীদের জানান, স্বামী ও তার পরিবারের মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে মুক্তা আত্মহননের পথ বেঁচে দিয়েছেন। পুলিশ বলছে, মরদেহ উদ্ধার পূর্বক সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন ও প্রাথমিকভাবে তথ্য সংগ্রহ’সহ তদন্ত চলছে।
এদিকে এদিন সকালে চাঁদপুর-লাকসাম রেলসড়কের হাজীগঞ্জ রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় যুবকের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা হাজীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থলে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে পুলিশ নিহত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যান। এদিকে স্যোশাল মিডিয়া ও যুবকের সাথে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে এবং তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে নাজিম উদ্দিনের মরদেহ চিহিৃত করেন। তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, নিহত গৃহবধূর মরদেহ থানা হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাজিম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে তিনি বলেন, চাঁদপুর রেলওয়ে থানায় অবহিত করার পর একজন অফিসার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স এসে মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর নিয়ে গেছে।
Reporter Name 





















