ঢাকার জিগাতলায় একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে এনসিপি নেত্রী জান্নাত আরা রুমীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ‘রাজনৈতিক হুমকি ও পারিবারিক জটিলতা’ এই দুটি বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা রুমীকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
রুমি জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির ধানমণ্ডি শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। তিনি জানান, প্রায় দুই মাস ধরে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন রুমী। তিনি হত্যা ও ধর্ষণের হুমকিও পেয়ে আসছিলেন। এসব কারণে গত কিছুদিন ধরে ট্রমাটাইজড্ ছিলেন।
দলের কর্মসূচিতে এলেও বিমর্ষ থাকতেন রুমী।
জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ চলাকালে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে মধ্যবয়সী এক নারী মারধরের শিকার হন। সেই মারধরে জড়িত থাকার ঘটনায় আলোচনায় আসেন জান্নাত আরা রুমী।
রুমীর বর্তমান ঠিকানা, পারিবারিক পরিচয়, গ্রামের ঠিকানা সবই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন এনসিপি নেতা আরিফুল ইসলাম আদীব।
তিনি বলেন, রুমীর পরিবারের সদস্যরাও একই রকম হুমকি-ধমকির মুখে পড়ায়, সেটি পারিবারিক জটিলতা বা চাপের কারণ হয়ে থাকতে পারে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। কিন্তু যদি আত্মহত্যাও হয় এর পেছনে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের কর্মীদের ক্রমাগত হুমকি-ধমকি দায়ী বলে আমি মনে করি।
ভোরে উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও পুলিশ সম্ভাব্য সব বিষয় আমলে নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানান হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে জান্নাত আরা রুমী হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন বলে তার দলের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে পারিবারিক ও ব্যক্তিজীবনেও তিনি কিছু জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
Reporter Name 























