• মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ পোস্ট মাস্টার হলেন হাজীগঞ্জের খোরশেদ আলম ধার্মিক ছেলে পেলে অভিনয় ছেড়ে বিয়ে করবেন মডেল প্রিয়াঙ্কা হাজীগঞ্জে নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব হাজীগঞ্জের মনিনাগে সম্পতিগত বিরোধের জেরধরে হামলা, ৮জন আহত ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’ মতলব উত্তরে ১০ম গ্রেডের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর স্মরণে দোয়া ও মিলাদ শাহরাস্তিতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে রবি শস্য বীজ ও নগদ অর্থ প্রদান শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ফরিদগঞ্জ ॥ বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা ফরিদগঞ্জে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৪

পুলিশ আসার খবর ‍শুনে গরু চোরকে ছেড়ে দিলো ইউপি সদস্য নেসার আহমেদ মিলন!

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
পুলিশ আসার খবর ‍শুনে গরু চোরকে ছেড়ে দিলো ইউপি সদস্য নেসার আহমেদ মিলন!
হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের কংগাইশ গ্রামের আটিয়া বাড়ির সিরাজুল হকের ছেলে হাসান।

হাজীগঞ্জে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গরু চোরকে ছেড়ে দিয়েছে ইউপি সদস্যে। ঘটনাটি উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বলিয়া গ্রামে। আর এমন অভিযোগ ওই ওয়ার্ডেরই ইউপি সদস্যে নেসার আহমেদ মিলনের বিরুদ্ধে উঠেছে। গরু চোরকে ভাগিয়ে দেওয়ার পূর্বে চোর এবং তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে রফাদফা করেন তিনি।

অভিযোগ উঠেছে গরু চুরির সাথে জড়িতও রয়েছে ওই ইউপি মেম্বার। যদি তাই বা না হয় তাহলে গরুচোরকে আটক করে ৭০ হাজার টাকা রফা দফা করে পুলিশ আসার খবর শুনে ছেড়ে দেয়ার কারণ কি?

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনের আলোতে বলিয়া গ্রামের চৌকিদার বাড়ির আশেক আলীর ছেলে নজরুল ইসলামের একটি গরু স্থানীয় মাঠ থেকে চুরি হয়ে যায়। পরের দিন মঙ্গলবার, (২৭ ডিসেম্বর) খোঁজ খবর নিয়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভাস্থ ৭নং ওয়ার্ডের কংগাইশ গ্রামের আটিয়া বাড়ির সিরাজুল হকের ছেলে হাসানকে বলিয়া গ্রামে নিয়ে আসে ইউপি সদস্যে নেসার আহমেদ মিলন ও গরুর মালিক। ওই দিন দিনগত রাত সাড়ে ৯টায় বলিয়া সিএনজি স্ট্যান্ডে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যর নিজস্ব কার্যালয়ে শালিসী বৈঠকে বসেন। বৈঠকে চোর এবং তার ভাই হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে গরুর মালিক নজরুল ইসলামকে ৬০ হাজার টাকা ও তাদের খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দেওয়ার ধার্য করা হয়। তার শালিসী বৈঠক চলাকালীন সময়ে তিনি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গরু চোর হাসান ও তার হোসেনকে ঘটনাস্থল থেকে ভাগিয়ে দেন। ইউপি সদস্য নেসার আহমেদ মিলনের কার্যালয়ে গিয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুফল গরু চোরকে পাননি। পরে তিনি বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে চোরকে থানা হাজির করার জন্য ইউপি সদস্য নেসার আহমেদ মিলনকে নির্দেশনা দিয়ে আসেন।

ইউপি সদস্য নেসার আহমেদ মিলন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি সমাধান করেছি। গরুর মালিককে ৬০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে গরু চোরকে ভাগিয়ে দেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।

এ প্রসঙ্গে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুফল সিংহ মুঠোফোনে বলেন, আমি যাওয়ার পূর্বে ইউপি সদস্য নেসার আহমেদ মিলন চুরির বিষয়টি সমাধান করে পেলেছেন। তার কার্যালয়ে গিয়ে গরু চোরকে পায়নি। তারপরও মিলন মেম্বার চোরকে থানায় হাজির করতে বলে এসেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১