শিক্ষারমান উন্নয়ণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশা-পাশি অভিভাবকদেরও গুরুত্বও রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর অবসরপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।
তিনি বুধবার বেলা ১১টায় হাজীগঞ্জের বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উধর্বমূখী সম্প্রাসরণ ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলার উদ্বোধন বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত অভিভাবক ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে শিক্ষকরা কি পড়াচ্ছে, শিক্ষার্থীরা বাড়ীতে গেলে, সেই পড়ার তদারকী করা অভিভাবকদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, পুঁথিগত শিক্ষা অর্জন করলেই চলবেনা, সবাইকে স্বপ্ন দেখতে হবে। বড় মানুষ হতে হবে। বাবা-মায়ের কষ্ট অনুধাবন করতে হবে। তোমরা যদি স্বপ্ন দেখো, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব। এজন্য ভালো করে পড়তে হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, এখন বিশ^ হাতের মুঠোয়, প্রযুক্তির কারণে সব কিছুই পাওয়া যাচ্ছে। বিশ^ এখন অনেক উন্নত। তোমরাই গড়তে পারবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, বিএনপি ক্ষমতায় এসে জনগণের সম্পদ লুঠ করেছে আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করেছে।
তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক দলের কারো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমি কোন ব্যবস্থা নেইনি আর নেবওনা। তিনি বলেন আমি ইদানীং লক্ষ করছি একটি রাজনৈতিক দলের এক/দুইজন উশৃঙ্খল ব্যক্তি এলাকায় অশান্তি সৃস্টি করার চেষ্টা করছে। আমরা তাদেরকে একটু সতর্ক করে বলবো, আমরা শান্তপ্রকৃতির এর অর্থ এই না, আমরা দূর্বল। আমরা অশান্তি চাইনা, কিন্তু কেউ যদি অশান্তি সৃষ্টি করতে চাই তাহলে আমরা আইনগতভাবে তাকে কিভাবে ঠাণ্ডা করতে হয়, তা আমরা করবো। আমাদের মাঝে কেউ অশান্তি সৃষ্টি করতে দেবোনা।
তিনি বলেন, আমাদের দলের বিরুদ্ধে ওই বিরোধী গ্রæপের কিছু লোক ঢুকে ছদ্মবেশে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আপনারা তাদের থেকে সাবধান থাকবেন। তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করবেন।
মেজর রফিক বলেন, আমরা চাই মানুষের উন্নয়ণ, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। আরা তারা চাচ্ছে অশান্তি সৃষ্টি করে লুঠপাট করে খেতে।
তিনি বলেন, তারা আমার যতো বিরোধীতা করুক সরকারি বরাদ্ধ আমি লুঠপাট করতে দেবোনা। জনগণের প্রাপ্য জনগণকে বুঝিয়ে দেবো।
মেজর রফিক হাজীগঞ্জ শাহরাস্তির উন্নয়ণ নিয়ে বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে এক সময় মাত্র ৭ কিলোমিটার রাস্তা পাকা ছিল এখন ৭’শ কিলোমিটার রাস্তা পাকা হয়েছে। সাত থেকে ৮শ ব্রীজ কালভার্ট হয়েছে। ব্রীজ-কালভার্ট করার মতো আর অবশিষ্ট কিছু নেই। শুধু মাত্র ডাকাতিয়া নদীর উপরই ৮টি ব্রীজ করা হয়েছে। সাড়ে ৭শ নতুন স্কুল মাদরাসা ও কলেজ ভবন করা হয়েছে। হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি উপজেলা মিলে প্রতি বছর ৪০ কোটি টাকার বিভিন্ন ধরণের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়ণের সরকার। শেখ হাসিনার সরকারি জনগণের সরকার। শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার।
তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, উন্নয়ণের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আবারো বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এজন্য সকল বিভেদ ভুলে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে পরিণত করতে আমার যতো সহযোগিতা প্রয়োজন করবো। বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্রæত একটি ৪তলা বহুতল ভবন করা হবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নৃ-গোষ্ঠীর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক অসীম কুমার দাসের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান মানিক, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন মজুমদার, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হাজী জসিম উদ্দিন, বাকিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিলন।
বাকিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বোরখাল উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান লিটনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ খালেক, বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা মোশারফ হোসেন বাবুল, প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে নিমেস চন্দ্র দাস, অভিভাবক সদস্য বেলায়েত হোসেন দুলাল, শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান ও ফাতেমা প্রমুখ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোহাম্মদ হোসেন মোল্লা লিটন, জামাল হোসেন, আব্দুল করিম ও তাহেরা বেগম, সহকারী প্রধান শিক্ষক অমর কৃষ্ণ শীলসহ
অনুষ্ঠানে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাদী, মানিক হোসেন প্রধানীয়া, মোস্তফা কামাল মজুমদার, ইউসুফ প্রধানীয়া সুমন, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সহ-সভাপতি প্রাণেশ চন্দ্র দাস, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী বিল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজারগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক সুজন প্রধানীয়া, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহদাত হোসেন রানা, সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলম গাজী, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা নাহিদুল ইসলাম সোহেল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বিসহ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।