নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান বলেছেন, আমাদের বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রথম থেকে আহবান জানিয়ে আসছিলাম সকল দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করার জন্য। আমরা আশাবাদি সবাই অংশগ্রহন করবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহন করা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে। তারাই হচ্ছে মাঠের প্লেয়ার। তারা যদি মাঠে না থাকে নির্বাচন ভাল হবে না। আমরা যতই মাঠ লেভেল প্লেয়িং করি, দুই পক্ষ না থাকলে সঠিক হবে না। এই জন্য আমরা সকলের কাছ থেকে সহযোগিতা চাইব, যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এম সফিউল্লার বাসভবন প্রাঙ্গণে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ১৫০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন নিব এই সিদ্ধান্তে ছিলাম। আগের নির্বাচন কমিশন দেড় লক্ষ ইভিএম মেশিন কিনেছিল। গত ৪ বছর যাবৎ এসব মেশিনে বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচন হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা এবং উপ-নির্বাচন হয়েছে। এতে কিছু সংখ্যক ইভিএম মেশিন অকেজো, ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এগুলো এখন আমরা গুনগত মান যাচাই করছি, কি পরিমান ব্যবহার করা যাবে। তার উপর ভিত্তি করবে কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে। সেটি ৫০টি কিংবা ৭০টিও হতে পারে। এটার জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করা লাগবে কতটি আসনে আমরা ইভিএমে নির্বাচন করব।
নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমানের সহধর্মিনী সালমা রুপালী, চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা।
অনুষ্ঠানে পাঁচ শতাধিক অসহায় ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়।