বিশেষ প্রতিনিধি ॥
শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, খেলা-ধুলা ও সংস্কৃতির কথা বললে এবং অনুপ্রেরণার উৎস খুঁজতে গেলে যে কয়টি নাম আসবে তার মধ্যে অন্যতম শেখ কামাল। তিনি শুধুমাত্র ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের একজন মেধাবি শিক্ষার্থী ছিলেন তা কিন্তু নয়, তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশের অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক জগতে যা কিছু করা সম্ভব ছিল, তা তিনি করেছেন।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ে শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ কামাল একজন প্রধানমন্ত্রী, একজন রাষ্ট্রপতির সন্তান হয়ে, ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও ক্ষমতা ভোগ করা নয়, বরং দায়িত্ব পালন করার, দেশের যুব সমাজকে নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠিত করার কাজটি করেছেন। আবার অনেক সময় নেতৃত্ব না দিয়ে পেছনে থেকে কাজ সবাইকে সামনে এগিয়ে দিয়েছেন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তীকালে আমাদের খেলাধুলা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন।
দীপু মনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যত বেশী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যুক্ত হবে, ততবেশী সুস্থ দেহ ও সুন্দর মন নিয়ে তারা তাদের পড়াশুনায় আরো মনোযোগী হতে পারবে। তারা নিজেদেরকে জ্ঞানে দক্ষতায় আরো বেশী দক্ষ-যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। তারা মানবিক ও সৃজনশীল হবে। আমরা যে দক্ষতা, মূল্যবোধ, সততা পরমতসহিষ্ণুতা, সবাইকে নিয়ে কাজ করার দক্ষতা, সহমর্মিতা সব বিষয়গুলো খেলার মাঠে শেখা যায়, অন্য যায়গায় এগুলো শেখার সুযোগ থাকে না।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা খেলা-ধুলায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে সত্যিকার মূল্যবোধ সম্পূর্ণ সোনার মানুষ হয়ে উঠবে। তাদের মাধ্যমে গড়ে উঠবে সোনার বাংলাদেশ।
এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন উড়িয়ে এবং মশাল প্রজ্জ্বলন করে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জেআর ওয়াদুদ টিপু, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিন জেলার ৮ উপজেলা থেকে ৩২ ইভেন্টে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে অধিকারী ৫১২জন অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেন। জেলা পর্যায়ে বিজয়ীরা পরবর্তীতে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করবেন।