নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া থেকে শুরু করে চাঁদপুরের মেঘনা এবং পদ্মা নদী উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২০ লাখ মিটার কারেন্টজাল, ৭ হাজার কেজি জাটকা ও ৬ জেলেকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। একই সময় একটি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন নৌ পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পংকজ চন্দ্র রায় ও নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) কামরুজ্জামান। অভিযানে নৌ পুলিশ হেড কোয়াটার্স এর ৬০জন অফিসার, ফোর্স এবং ৪টি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ফোর্স অংশগ্রহন করেন।
অভিযানের সময় চাঁদপুর মেঘনা নদীর মোহনা থেকে ৪ জেলেকে জাটকা ধরার সময় হাতে নাতে আটক করে এবং দুইজনকে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার সুরেশ^র এলাকা থেকে আটক করা হয়।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, চাঁদপুরে মেঘনা মোহনায় আটক ৪ জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) কামরুজ্জামান বলেন, মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী কারেন্টজাল, চরঘেরা জাল, গুটি জাল, বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ যেসব জালগুলো আছে সেগুলোর ব্যবহার বন্ধের জন্য বিশেষ কম্বিং অপারেশন চলমান আছে। কম্বিং অপারেশনের তৃতীয় পর্যায় এখন চলছে। এটি শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ থেকে চলমান থাকবে ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখ পর্যন্ত। এই অপারেশন সফল করার লক্ষে নৌ-পুলিশ হেড কোয়াটার্স থেকে ৬০ সদস্যের একটি বড় টিম আজকে পদ্মা-মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করেছে।
তিনি বলেন, অভিযানে আমরা প্রায় ২০ লাখ মিটার কারেন্টজাল, ৭হাজার কেজি জাটকা, ১টি মাছ ধরার নৌকা এবং ৬জন জেলেকে আটক করেছি। এসব আটকের ঘটনায় চাঁদপুর নৌ থানায় এবং শরীয়তপুরে দুটি মামলা হয়েছে।
এছাড়াও জব্দকৃত কারেন্টজাল বিকেলে অভিযানকৃত এলাকায় এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়ায় আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জাটকাগুলোও সেখানকার এতিমখানা ও দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
জাটকা রক্ষায় আগামীতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা নিধনরোধে জেলেদের প্রতি আহবান জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।