ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫২ বছর বয়সে মাকে বিয়ে দিলেন ছেলে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
  • ৭৩ Time View

বয়স ৫২ বছর। ছেলে কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন। একাকিত্ব দূর করতে ফের সাতপাকে ঘুরলেন এক জনৈকা। মায়ের বিয়েতে আপ্লুত ছেলে। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের জন্য বিশেষ বার্তাও দিয়েছেন তিনি।

ওই তরুণ লিখেছেন, “২০১৩ সালে ৪৪ বছর বয়সে আমার মা তাঁর স্বামীকে হারিয়েছেন। ২০১৯ সালে আমার মায়ের স্টেজ থ্রি ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর তাঁকে একাধিক কেমো থেরাপির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। ক্যানসার চিকিৎসা চলাকালীন তিনি করোনার ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত হন।”

তিনি আরও বলেন, “আমার মা হতাশ হননি। তিনি হেরে যাননি। তিনি সমস্ত তথাকথিত গন্ডি ভেঙেছেন। তিনি অন্য কাউকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। ৫২ বছর বয়সে তিনি নতুন করে ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছেন। আমার মা একজন যোদ্ধা। তিনি লড়াকু।”

নিজের মায়ের নতুুন জীবনে পা রাখার এই সিদ্ধান্ত খোলা মনে মেনে নিয়েছেন জিমিত। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মর উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন এই তরুণ। তিনি লেখেন, “ভারতের সমস্ত তরুণের উদ্দেশ্যে বলছি যদি আপনার মা-বাবার মধ্যে কেউ সিঙ্গল থাকেন তাহলে তাঁদের সঙ্গী খোঁজার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করুন। ভালোবাসা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সবার আগে।”

ওই ব্যক্তির পরিজনেরাও স্বাভাবিকভাবেই খুশি। নিজের মায়ের বিয়ের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ওই ব্যক্তি। যেখানে মালাবদলের একটি ছবি দেখা যাচ্ছে। একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছবিটি পোস্ট করেন ওই ব্যক্তি। এরপরেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন অনেকেই। অনেকে আবার নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাও ভাগ করে নেন।
এক মহিলার কথায়, “আপনার চিন্তাধারার প্রশংসা না করে পারছি না। আপনার মা একজন যোদ্ধা। আমরা ভুলে যায় যে মায়েরা সবসময় নিজেদের উপরে সন্তানদের খুশিকে বেছে নেন। তাই তাঁরা জীবনে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে আমাদের সবথেকে বড় চিয়ারলিডার হওয়া উচিত।”

অন্যদিকে, এক মহিলা লেখেন, “সিঙ্গল মাদার হওয়ার অন্যতম কঠিন কাজ। তার থেকেও জরুরি বিষয় আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনে কখনও না কখনও জীবনসঙ্গীর প্রয়োজন রয়েছে। জীবনে সত্যিকারের জীবনসঙ্গী পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। আমি আপনার মায়ের জন্য অত্যন্ত খুশি। আপনার মায়ের জন্য শুভেচ্ছা।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

নিরাপত্তা চেয়ে এক মাস আগে জিডি করেছিলো এনসিপি নেত্রী রুমী

৫২ বছর বয়সে মাকে বিয়ে দিলেন ছেলে

Update Time : ০২:১৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

বয়স ৫২ বছর। ছেলে কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন। একাকিত্ব দূর করতে ফের সাতপাকে ঘুরলেন এক জনৈকা। মায়ের বিয়েতে আপ্লুত ছেলে। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের জন্য বিশেষ বার্তাও দিয়েছেন তিনি।

ওই তরুণ লিখেছেন, “২০১৩ সালে ৪৪ বছর বয়সে আমার মা তাঁর স্বামীকে হারিয়েছেন। ২০১৯ সালে আমার মায়ের স্টেজ থ্রি ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর তাঁকে একাধিক কেমো থেরাপির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। ক্যানসার চিকিৎসা চলাকালীন তিনি করোনার ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত হন।”

তিনি আরও বলেন, “আমার মা হতাশ হননি। তিনি হেরে যাননি। তিনি সমস্ত তথাকথিত গন্ডি ভেঙেছেন। তিনি অন্য কাউকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। ৫২ বছর বয়সে তিনি নতুন করে ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছেন। আমার মা একজন যোদ্ধা। তিনি লড়াকু।”

নিজের মায়ের নতুুন জীবনে পা রাখার এই সিদ্ধান্ত খোলা মনে মেনে নিয়েছেন জিমিত। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মর উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন এই তরুণ। তিনি লেখেন, “ভারতের সমস্ত তরুণের উদ্দেশ্যে বলছি যদি আপনার মা-বাবার মধ্যে কেউ সিঙ্গল থাকেন তাহলে তাঁদের সঙ্গী খোঁজার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করুন। ভালোবাসা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সবার আগে।”

ওই ব্যক্তির পরিজনেরাও স্বাভাবিকভাবেই খুশি। নিজের মায়ের বিয়ের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ওই ব্যক্তি। যেখানে মালাবদলের একটি ছবি দেখা যাচ্ছে। একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছবিটি পোস্ট করেন ওই ব্যক্তি। এরপরেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন অনেকেই। অনেকে আবার নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাও ভাগ করে নেন।
এক মহিলার কথায়, “আপনার চিন্তাধারার প্রশংসা না করে পারছি না। আপনার মা একজন যোদ্ধা। আমরা ভুলে যায় যে মায়েরা সবসময় নিজেদের উপরে সন্তানদের খুশিকে বেছে নেন। তাই তাঁরা জীবনে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে আমাদের সবথেকে বড় চিয়ারলিডার হওয়া উচিত।”

অন্যদিকে, এক মহিলা লেখেন, “সিঙ্গল মাদার হওয়ার অন্যতম কঠিন কাজ। তার থেকেও জরুরি বিষয় আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনে কখনও না কখনও জীবনসঙ্গীর প্রয়োজন রয়েছে। জীবনে সত্যিকারের জীবনসঙ্গী পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। আমি আপনার মায়ের জন্য অত্যন্ত খুশি। আপনার মায়ের জন্য শুভেচ্ছা।”