ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেবরের সাথে অবৈধ সম্পর্কে প্রবাসীর স্ত্রী গর্ভবতী, নবজাতকের মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
  • ৪৬ Time View

ছবি-সংগৃহিত।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার হাসিমপুর গ্রামে মজুমদার বাড়ির আজিজুল হকের স্ত্রী রীনি আক্তারের (২৪) অবৈধ ফসল ২ মাসের নবজাতকের মৃত্যু। রীনি আক্তার তার অবৈধ এ সন্তানের জন্য দেবর হাফেজ মেহেদী হাসানকে দায়ী করে চাঁদপুরের আদালতে মামলা দায়ের করেছে।

এ অবৈধ সন্তানকে কেন্দ্র করে এলাকার লোকজনের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ ও ঘৃণার সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদের ঝড় উঠে সর্বমহল থেকে।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর পূর্বে রীনি আক্তার ইসলামি শরিয়া মোতাবেক আজিজুল হকের (২৭) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হয়। বিবাহের কিছুদিন পর আজিজুল হক প্রবাসে চলে যান। আজিজুল হক প্রবাসে থাকা কালিন তার ছোট ভাই হাফেজ মেহেদী হাসান (২২) ভাবি রীনি আক্তারের সাথে কৌশলে ভাব জমায়। এ পর্যায়ে তারা দুই জন অবৈধ সর্ম্পকে লিপ্তহয়। এ অবৈধ সম্পর্ক থেকে রীনি আক্তার গর্ভবতী হয়।

বিষয়টি উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে আজিজুল হক প্রবাস থেকে দেশে চলে আসে। সে গর্ভবতী রীনির গর্ভপাত ঘটিয়ে পেটের সন্তানটি বিনষ্ট করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সন্তান ধারণের প্রায় ৬ মাস হয়ে যাওয়ায় কোন চিকিৎসক এ গর্ভপাত ঘটাতে সম্মত হয়নি। এদিকে রীনি আক্তার তার গর্ভের সন্তানের জন্য যাতে আজিজুল হকের ভাই মেহেদী হাসানকে দায়ী না করে অন্যের কথা বলে, এনিয়ে আজিজুল হক রীনি আক্তারের উপর চাপ সৃষ্টি সহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায়। হাফেজ মেহেদী হাসান ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পরপরেই এলাকা থেকে গাঁ ডাকা দেয়। এরই একপর্যায়ে রীনি আক্তারের পিতৃপক্ষ হাসিমপুরে এসে রীনি আক্তারের অবৈধ সন্তান ধারণের জন্য দায়ি ব্যাক্তির বিচারের জন্য গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের কাছে আবেদন-নিবেদন জানায়।

গন্যমান্য ব্যাক্তিরা সামাজিক রীতি-নীতি ও ইসলামি শরিয়া মোতাবেক এর ফয়শালা করার উদ্যোগ নিলে আজিজুল হক ও তার পিতা গোলাম মাওলা বিষয়টি আমলে না নিয়ে গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের এড়িয়ে চলে। একপর্যায়ে আজিজুল হক রীনি আক্তারকে বাড়ি থেকে অনত্র নিয়ে লুকিয়ে রাখে। প্রায় তিন মাস পূর্বে স্ত্রীকে কোথাও কোন প্রকার অভিযোগ না করার শর্ত আরোপ করে প্রবাসে চলে যায়। এতে রীনি আক্তার অসহায় হয়ে পড়ে। সে সু-কৌশলে লুকানোর স্থান থেকে পালিয়ে পিত্রালয়ে চলে গিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে।

বর্তমানে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন কচুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশিদ সরকার। ইত: সময়ের মধ্যে অর্থাৎ প্রায় দুই মাস পূর্বে রীনি আক্তার তার অবৈধ কন্যা সন্তান প্রসব করে। গত শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শিশুটি মারা যায়। রীনি আক্তার ও তার মা ফরিদা বেগম দাবি করে, শিশুটি ঘুমের মধ্যে মারা যায়।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম খলিল জানান, মৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষা কার্যক্রম ও অব্যাহত রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

১০ম গ্রেডসহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি প্রদান

দেবরের সাথে অবৈধ সম্পর্কে প্রবাসীর স্ত্রী গর্ভবতী, নবজাতকের মৃত্যু

Update Time : ১০:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার হাসিমপুর গ্রামে মজুমদার বাড়ির আজিজুল হকের স্ত্রী রীনি আক্তারের (২৪) অবৈধ ফসল ২ মাসের নবজাতকের মৃত্যু। রীনি আক্তার তার অবৈধ এ সন্তানের জন্য দেবর হাফেজ মেহেদী হাসানকে দায়ী করে চাঁদপুরের আদালতে মামলা দায়ের করেছে।

এ অবৈধ সন্তানকে কেন্দ্র করে এলাকার লোকজনের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ ও ঘৃণার সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদের ঝড় উঠে সর্বমহল থেকে।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর পূর্বে রীনি আক্তার ইসলামি শরিয়া মোতাবেক আজিজুল হকের (২৭) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হয়। বিবাহের কিছুদিন পর আজিজুল হক প্রবাসে চলে যান। আজিজুল হক প্রবাসে থাকা কালিন তার ছোট ভাই হাফেজ মেহেদী হাসান (২২) ভাবি রীনি আক্তারের সাথে কৌশলে ভাব জমায়। এ পর্যায়ে তারা দুই জন অবৈধ সর্ম্পকে লিপ্তহয়। এ অবৈধ সম্পর্ক থেকে রীনি আক্তার গর্ভবতী হয়।

বিষয়টি উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে আজিজুল হক প্রবাস থেকে দেশে চলে আসে। সে গর্ভবতী রীনির গর্ভপাত ঘটিয়ে পেটের সন্তানটি বিনষ্ট করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সন্তান ধারণের প্রায় ৬ মাস হয়ে যাওয়ায় কোন চিকিৎসক এ গর্ভপাত ঘটাতে সম্মত হয়নি। এদিকে রীনি আক্তার তার গর্ভের সন্তানের জন্য যাতে আজিজুল হকের ভাই মেহেদী হাসানকে দায়ী না করে অন্যের কথা বলে, এনিয়ে আজিজুল হক রীনি আক্তারের উপর চাপ সৃষ্টি সহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায়। হাফেজ মেহেদী হাসান ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পরপরেই এলাকা থেকে গাঁ ডাকা দেয়। এরই একপর্যায়ে রীনি আক্তারের পিতৃপক্ষ হাসিমপুরে এসে রীনি আক্তারের অবৈধ সন্তান ধারণের জন্য দায়ি ব্যাক্তির বিচারের জন্য গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের কাছে আবেদন-নিবেদন জানায়।

গন্যমান্য ব্যাক্তিরা সামাজিক রীতি-নীতি ও ইসলামি শরিয়া মোতাবেক এর ফয়শালা করার উদ্যোগ নিলে আজিজুল হক ও তার পিতা গোলাম মাওলা বিষয়টি আমলে না নিয়ে গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের এড়িয়ে চলে। একপর্যায়ে আজিজুল হক রীনি আক্তারকে বাড়ি থেকে অনত্র নিয়ে লুকিয়ে রাখে। প্রায় তিন মাস পূর্বে স্ত্রীকে কোথাও কোন প্রকার অভিযোগ না করার শর্ত আরোপ করে প্রবাসে চলে যায়। এতে রীনি আক্তার অসহায় হয়ে পড়ে। সে সু-কৌশলে লুকানোর স্থান থেকে পালিয়ে পিত্রালয়ে চলে গিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে।

বর্তমানে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন কচুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশিদ সরকার। ইত: সময়ের মধ্যে অর্থাৎ প্রায় দুই মাস পূর্বে রীনি আক্তার তার অবৈধ কন্যা সন্তান প্রসব করে। গত শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শিশুটি মারা যায়। রীনি আক্তার ও তার মা ফরিদা বেগম দাবি করে, শিশুটি ঘুমের মধ্যে মারা যায়।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম খলিল জানান, মৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষা কার্যক্রম ও অব্যাহত রয়েছে।