অনলাইন নিউজ ডেস্ক :
মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাসে নারীদের একটি কারাগারে গতকাল মঙ্গলবার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, সংঘর্ষের একপর্যায়ে কারাগারের একাংশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
হন্ডুরাস পুলিশের মুখপাত্র এদগার্দো বারাহোনা বলেন, রাজধানী তেগুচিগালপা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে নারীদের একটি কারাগারে ভয়াবহ এ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে ৪১ নারী নিহত হওয়ার তথ্য জানা গেছে। তবে তাঁরা সবাই কারাবন্দী কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বারাহোনা বলেন, পাঁচ নারীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সহিংসতা ও আগুন লাগার খবর পেয়ে কারাবন্দী নারীদের শত শত স্বজন কারাগারের সামনে জড়ো হন। তাঁদের একজন বলেন, ‘কারা হতাহত হয়েছেন, তা আমাদের এখনো জানানো হয়নি।’
সেনা ও পুলিশ সদস্যদের ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কারাগারের ভেতরে ঢুকতে এবং আশপাশের এলাকায় পাহারা দিতে দেখা গেছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও সেখানে যোগ দেন।
এক কারাবন্দীর স্বজন দেলমা ওরদোনেজের ভাষ্যমতে, কারাগারে এক পক্ষের সদস্যরা প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের সেলে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে কারাগারের ওই অংশ আগুনে পুরোপুরি পুড়ে যায়।
ওরদোনেজ বলেন, তামারায় সিইএফএএস নামের কারাগারটিতে প্রায় ৯০০ বন্দী আছেন।
হন্ডুরাসের কৌঁসুলির কার্যালয়ের মুখপাত্র ইয়ুরি মোরা বার্তা সংস্থাকে বলেন, সহিংসতার ঘটনায় যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। কয়েকটি মরদেহে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, কোন পক্ষ শুরুতে আগুন দিয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে।
হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট সিওমারা কাস্ত্রো এক টুইটার পোস্টে বলেন, সিইএফএএস কারাগারে বিবদমান পক্ষগুলোর হাতে নারীদের নৃশংসভাবে হত্যার এ ঘটনায় তিনি হতভম্ব। শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি তিনি সমবেদনা জানিয়েছেন।
সিওমারা কাস্ত্রো আরও বলেন, হন্ডুরাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে তিনি কঠোর পদক্ষেপ নেবেন।