দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়ার ঘোষণা দিলেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) সহকারি রিটার্নিং ও উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা মো. ইকবাল হাসানের কার্যালয় থেকে সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মো. জোবায়ের গোলাম হোসেনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলাম হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা রবিবার গণভবনে মনোননয় প্রত্যাশীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। সেখানে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিধি নিষেধ দেননি। বরং তিনি বলেছেন-এবার ভোটকে উৎসব মুখর করতে হবে। তাই নির্বাচনে বেশি প্রার্থী হলে ভোটাদের মধ্যে উৎসব উদ্দীপনা কাজ করবে ও ভোট কেন্দ্রে ভোটাদের উপস্থিতি বাড়বে। এছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল থেকে কোন আপত্তি নেই।
তিনি আরো বলেন- কচুয়ার তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা চাচ্ছে এবং কচুয়ার জনগণের দাবীর মুখে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই আমি স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে ভোটে অংশগ্রহন করছি ও আমি নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যলয় থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় ৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। তন্মধ্যে তিন হাই প্রোফাইল নেতা-বর্তমান এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কচুয়া আসনে আওয়ামী লীগের যৌথ মনোনয়ন প্রাপ্ত মো. গোলাম হোসেন।
তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন – আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। এবারেই তিনি প্রথম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নৌকা মার্কার জন্য মনোনীত হলেন।
গোলাম হোসেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাণিজ্যক সচিব থেকে অবসর গ্রহন করার পর ২০১৬ সাল থেকে কচুয়ার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কচুয়া আসনে আওয়ামী লীগের যৌথ মনোনয়ন প্রাপ্ত হন ড. মহীউদ্দীন আলমগীরের সাথে। তারপর থেকে কচুয়ার অবহেলিত বঞ্চিত আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কচুয়ার জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।
রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর থেকে কচুয়ার গৃহহীন, অসহায় ৩শত পরিবারের মাঝে সেমিপাকা টিনসেট নতুন ঘর করে দিয়েছেন। তার পাশাপাশি কচুয়ার তার নিজ গ্রাম হাসিমপুরে ড.ম নসুর উদ্দীন মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠাতা করে কচুয়ার নারী শিক্ষার বিস্তার অগ্রনী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে ও কচুয়ায় ৯টি কলেজের মধ্যে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফলাফলে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছেন এ প্রতিষ্ঠানটি এবং নিম্ম আয়ের ও অসহায় মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাসিমপুরে ফয়েজুনেচ্ছা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত করে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।
এই আসনে ২০০৮ সাল থেকে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর টানা ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে ১০৯ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭ শত ৬৯জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩শত ৩১ জন , মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪শত ২৭ জন।