ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ষড়যন্ত্র ছিল, ষড়যন্ত্র আছে : প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৫৭ Time View

অনলাইন নিউজ ডেস্ক :

দেশে মার্চ মাসে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে বলে শোনা যাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এমনটি জানিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই আশঙ্কা এখনও আছে কিনা-এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেছেন, ষড়যন্ত্র তো ছিল, ষড়যন্ত্র তো আছে। আপনারা জানেন, আমি আসার পর থেকে বার বার আমাকে বাধা দেওয়া, ক্ষমতায় যেন না যেতে পারি। ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার ঘটনাই ধরেন না কেন, রাসেলকেও তো ছাড়েনি, কেন, যেন ওই রক্তের কেউ বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে না পারে।

তিনি বলেন, নির্বাচনটা যাতে না হয়, তার জন্য একাটা বিরাট চক্রান্ত ছিল, আপানার জানেন। আপনারা ২৮ অক্টোবরের ঘটনাটা একবার চিন্তা করেন। ২০১৩ সালের যে অগ্নিসন্ত্রাস, ২০১৩, ১৪, ১৫, এরপর আবার গতবছর ২৮ অক্টোবর।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর শুক্রবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতি জার্মানি সফর নিয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা এই ধরনের নির্বাচন বানচালের পক্ষে, তারা যখন দেখল যে ইলেকশন কিছুতেই আটকাতে পারবে না, কারণ মানুষের একটা স্বতঃস্ফূর্ততা আছে, তখন চক্রান্ত হল যে জিনিসের দাম বাড়বে, সরকার জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হবে, তখন আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করব। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ।

‘কাদের সেটা আপনারা ভালো বোঝেন, আমি আর কারো নাম বলতে চাই না, বলার দরকারও নেই আমার। কিন্তু এই চক্রান্তটা আছে। তবে এই কথাটা আমি বলতে পারি, এই যে কালকে বৃষ্টি হল না? কথায় তো আছে, ‘যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজা পূণ্য দেশ’।’

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, সে কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় তো বাংলাদেশে অভাব হলে বলত পেটে ভাত নাই। এখন কি সেই কথাটা বলে? বলে না।

‘কী বলে? ডিমের দাম, পেঁয়াজের দাম, মুরগির দাম, গরুর মাংসের দাম, অথবা পাঙ্গাস মাছের পেটি খেতে পারছেন, এই তো? এটা কি একটা পরিবর্তন না? ১৫ বছরে তো এই পরিবর্তনটা এসেছে, সেটাতো স্বীকার করবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ বছর আগে কী ছিল? ভাতের জন্য হাহাকার ছিল। একটু নুন ভাত, ভাতের ফ্যান চাইত, এখন তো ভিক্ষা চায় না।

প্রশ্নকর্তা সাংবাদিককে তিনি বলেন, আপনি নিজেই তো বললেন, ডিম লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানো। আপনার কি এটা মনে হয় না, এই যে যারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন করে, এখানে তাদেরও কিছু কারসাজি আছে?

শেখ হাসিনা বলেন, এর আগে এরকম পেঁয়াজের খুব অভাব, দেখা গেল বস্তাকে বস্তা পচা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এই লোকগুলিরে কি করা উচিত? সেটা আপনারাই বলেন। এদের গণধোলাই দেওয়া উচিত। কারণ সরকার করলে বলবে সরকার করছে। পাবলিক করলে কিছু বলতে পারবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

চাঁদপুর-৫ আসনে জাকির হোসেন প্রধানীয়ার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

ষড়যন্ত্র ছিল, ষড়যন্ত্র আছে : প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০৪:৩৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অনলাইন নিউজ ডেস্ক :

দেশে মার্চ মাসে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে বলে শোনা যাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এমনটি জানিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই আশঙ্কা এখনও আছে কিনা-এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেছেন, ষড়যন্ত্র তো ছিল, ষড়যন্ত্র তো আছে। আপনারা জানেন, আমি আসার পর থেকে বার বার আমাকে বাধা দেওয়া, ক্ষমতায় যেন না যেতে পারি। ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার ঘটনাই ধরেন না কেন, রাসেলকেও তো ছাড়েনি, কেন, যেন ওই রক্তের কেউ বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে না পারে।

তিনি বলেন, নির্বাচনটা যাতে না হয়, তার জন্য একাটা বিরাট চক্রান্ত ছিল, আপানার জানেন। আপনারা ২৮ অক্টোবরের ঘটনাটা একবার চিন্তা করেন। ২০১৩ সালের যে অগ্নিসন্ত্রাস, ২০১৩, ১৪, ১৫, এরপর আবার গতবছর ২৮ অক্টোবর।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর শুক্রবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতি জার্মানি সফর নিয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা এই ধরনের নির্বাচন বানচালের পক্ষে, তারা যখন দেখল যে ইলেকশন কিছুতেই আটকাতে পারবে না, কারণ মানুষের একটা স্বতঃস্ফূর্ততা আছে, তখন চক্রান্ত হল যে জিনিসের দাম বাড়বে, সরকার জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হবে, তখন আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করব। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ।

‘কাদের সেটা আপনারা ভালো বোঝেন, আমি আর কারো নাম বলতে চাই না, বলার দরকারও নেই আমার। কিন্তু এই চক্রান্তটা আছে। তবে এই কথাটা আমি বলতে পারি, এই যে কালকে বৃষ্টি হল না? কথায় তো আছে, ‘যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজা পূণ্য দেশ’।’

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, সে কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় তো বাংলাদেশে অভাব হলে বলত পেটে ভাত নাই। এখন কি সেই কথাটা বলে? বলে না।

‘কী বলে? ডিমের দাম, পেঁয়াজের দাম, মুরগির দাম, গরুর মাংসের দাম, অথবা পাঙ্গাস মাছের পেটি খেতে পারছেন, এই তো? এটা কি একটা পরিবর্তন না? ১৫ বছরে তো এই পরিবর্তনটা এসেছে, সেটাতো স্বীকার করবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ বছর আগে কী ছিল? ভাতের জন্য হাহাকার ছিল। একটু নুন ভাত, ভাতের ফ্যান চাইত, এখন তো ভিক্ষা চায় না।

প্রশ্নকর্তা সাংবাদিককে তিনি বলেন, আপনি নিজেই তো বললেন, ডিম লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানো। আপনার কি এটা মনে হয় না, এই যে যারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন করে, এখানে তাদেরও কিছু কারসাজি আছে?

শেখ হাসিনা বলেন, এর আগে এরকম পেঁয়াজের খুব অভাব, দেখা গেল বস্তাকে বস্তা পচা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দিচ্ছে। এই লোকগুলিরে কি করা উচিত? সেটা আপনারাই বলেন। এদের গণধোলাই দেওয়া উচিত। কারণ সরকার করলে বলবে সরকার করছে। পাবলিক করলে কিছু বলতে পারবে না।