ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাজীগঞ্জে নেছারাবাদ ফাযিল মাদরাসায় পরীক্ষা স্থগিত হলেও ‘ফি’ ফেরত পায়নি শিক্ষার্থীরা!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:১৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
  • ৭৭ Time View

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :

চাঁদপুরের পাঠক প্রিয় সাপ্তাহিক ত্রিনদীর পত্রিকার অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর হাজীগঞ্জের কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের নেছারাবাদ ছালেহিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে আয়োজিত মূল্যায়ন পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) থেকে এবতেদায়ী চতুর্থ শ্রেণি থেকে দাখিল দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

এর আগে বুধবার রাতে পত্রিকার অনলাইনে ‘হাজীগঞ্জ নেছারাবাদ ফাযিল মাদরাসায় সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে পরীক্ষার প্রস্তুতি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই পরীক্ষার জন্য শ্রেণিভেদে ২৫০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত ফি ধরা এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে। এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর পরীক্ষা স্থগিত হলেও শিক্ষার্থীরা ফেরৎ পায়নি তাদের দেওয়া ‘পরীক্ষা ফি’।

এ বিষয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নাজিম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া পরীক্ষা ফি ফেরৎ দেওয়া হয়নি। তবে বেতনের সাথে সমন্বয় করা হবে।

উল্লেখ্য, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বছরে দুটি পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। প্রথম পরীক্ষা জুনের শেষের দিকে এবং শেষ (বার্ষিক) পরীক্ষা নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে, অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে নেছারাবাদ ছালেহিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় পরীক্ষার আয়োজন করেন অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নাজিম উদ্দিনসহ শিক্ষকরা।

বুধবার পরিদর্শনে গিয়ে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে পরীক্ষার আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে পরীক্ষার ফি নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দু’রকম কথা বলেছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, চতুর্থ থেকে সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষার ফি ২৫০ টাকা, অষ্টম শ্রেণি ৩০০ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণি ৩৫০ টাকা।

তবে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, চতুর্থ থেকে সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষার ফি ২০০ টাকা, অষ্টম শ্রেণি ২৫০ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণি ৩০০ টাকা। এদিকে মাদরাসা পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার যে মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, সেই পরীক্ষার খাতা (কাগজ) বাধাই করছেন মাদরাসার দপ্তরি। এ সময় তাঁর (দপ্তরি) পড়নে (পরিধান) লুঙ্গি ছিলো। যা অফিসিয়াল পোশাকের শিষ্ঠাচার বর্হিভূত।

এ বিষয়ে ছেলে-মেয়েদের প্রগ্রেসিভের কথা উল্লেখ করে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নাজিম উদ্দিন সংবাদকর্মীদের বলেন, জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারীতে শিক্ষার্থীদের আমরা কতটুকু দিয়েছি, তারাই বা কতটুকু গ্রহণ করতে পেরেছে এবং কি শিখেছে ও কি জেনেছে ? তার সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য এ পরীক্ষা নিচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেখানে বড় বড় সমস্যা, আপনারা (সংবাদকর্মী) সেখানে যান। দপ্তরির বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি (দপ্তরি) এমনি। তার বিষয়ে কান দিয়েন না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল বলেন, ‘সরকারি নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিন বলেন, বিষয়টি দেখছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফরিদগঞ্জে আদালতকে আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞাকৃত সম্পত্তিতে ভবণ নির্মাণ

হাজীগঞ্জে নেছারাবাদ ফাযিল মাদরাসায় পরীক্ষা স্থগিত হলেও ‘ফি’ ফেরত পায়নি শিক্ষার্থীরা!

Update Time : ০৫:১৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :

চাঁদপুরের পাঠক প্রিয় সাপ্তাহিক ত্রিনদীর পত্রিকার অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর হাজীগঞ্জের কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের নেছারাবাদ ছালেহিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে আয়োজিত মূল্যায়ন পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) থেকে এবতেদায়ী চতুর্থ শ্রেণি থেকে দাখিল দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

এর আগে বুধবার রাতে পত্রিকার অনলাইনে ‘হাজীগঞ্জ নেছারাবাদ ফাযিল মাদরাসায় সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে পরীক্ষার প্রস্তুতি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই পরীক্ষার জন্য শ্রেণিভেদে ২৫০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত ফি ধরা এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে। এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর পরীক্ষা স্থগিত হলেও শিক্ষার্থীরা ফেরৎ পায়নি তাদের দেওয়া ‘পরীক্ষা ফি’।

এ বিষয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নাজিম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া পরীক্ষা ফি ফেরৎ দেওয়া হয়নি। তবে বেতনের সাথে সমন্বয় করা হবে।

উল্লেখ্য, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বছরে দুটি পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। প্রথম পরীক্ষা জুনের শেষের দিকে এবং শেষ (বার্ষিক) পরীক্ষা নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে, অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে নেছারাবাদ ছালেহিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় পরীক্ষার আয়োজন করেন অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নাজিম উদ্দিনসহ শিক্ষকরা।

বুধবার পরিদর্শনে গিয়ে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে পরীক্ষার আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে পরীক্ষার ফি নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দু’রকম কথা বলেছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, চতুর্থ থেকে সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষার ফি ২৫০ টাকা, অষ্টম শ্রেণি ৩০০ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণি ৩৫০ টাকা।

তবে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, চতুর্থ থেকে সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষার ফি ২০০ টাকা, অষ্টম শ্রেণি ২৫০ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণি ৩০০ টাকা। এদিকে মাদরাসা পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার যে মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, সেই পরীক্ষার খাতা (কাগজ) বাধাই করছেন মাদরাসার দপ্তরি। এ সময় তাঁর (দপ্তরি) পড়নে (পরিধান) লুঙ্গি ছিলো। যা অফিসিয়াল পোশাকের শিষ্ঠাচার বর্হিভূত।

এ বিষয়ে ছেলে-মেয়েদের প্রগ্রেসিভের কথা উল্লেখ করে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নাজিম উদ্দিন সংবাদকর্মীদের বলেন, জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারীতে শিক্ষার্থীদের আমরা কতটুকু দিয়েছি, তারাই বা কতটুকু গ্রহণ করতে পেরেছে এবং কি শিখেছে ও কি জেনেছে ? তার সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য এ পরীক্ষা নিচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেখানে বড় বড় সমস্যা, আপনারা (সংবাদকর্মী) সেখানে যান। দপ্তরির বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি (দপ্তরি) এমনি। তার বিষয়ে কান দিয়েন না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল বলেন, ‘সরকারি নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিন বলেন, বিষয়টি দেখছি।