ঢাকা 11:05 am, Saturday, 28 June 2025

কাচিকাটা ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, বাড়ি-ঘর লুট, আহত অর্ধশতাধিক

  • Reporter Name
  • Update Time : 05:05:17 pm, Wednesday, 27 March 2024
  • 2 Time View

মেঘনা পশ্চিম তীরবর্তী কাচিকাটা ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বসতঘর ভাংচুর, লুটপাট এবং অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। ২৭ মার্চ বুধবার সকালে চাঁদপুরের পাশ্ববর্তী শরিয়তপুর জেলার ৯নং কাচিকাটা ইউপির দক্ষিণ মাথাভাঙা নজির খার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

কাচিকাটা ইউপি নির্বাচনে পরাজিত তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকেদের পরিকল্পিত সশস্ত্র হামলায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিজয়ী চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন দেওয়ান দাবী করেন।

এই এঘটনায় গুরুতর আহতরা হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য আল আমিন দেওয়ান (৩০), জয় গাজী, যুবলীগ নেতা সোনামিয়া দেওয়ান (৫০), বিল্লাল দেওয়ান (৩৫), নজির খান (৫০), সোলেমান দেওয়ান (৪০), জাহান উল্লাহ (৪০), ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লিটু দেওয়ানসহ আরো অনেকে। আহতদের মধ্যে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন দেওয়ান (৩০) এবং জয় গাজীর অবস্থা আসংখ্যাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

জাহান উল্লাসহ আহতদের অনেকে জানান, আমরা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। ভোটে জয় পরাজয় থাকবেই। আজ সকালে রিপন বেপারী এবং তার ভাইয়েরাসহ ৪/৫শ’ লোক আমাদের বাড়িঘর এবং মানুষেদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীদের হাতে ধারালো রামদা, চাপাতি, টেঁটাসহ দেশি বিদেশি অস্ত্র ছিলো। আমরা কোন কিছু বুঝে উঠারর আগে তারা আমাদের উপর অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা করে।

এ বিষয়ে কাচিকাটা ইউপির নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন দেওয়ান বলেন, গত ৯ মার্চ আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটসহ প্রশাসনের লোক দায়িত্বে ছিলেন। ফলে সুষ্টু ভোটের মাধ্যমে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। ভোটে পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী, কামরুল হাওলাদার, ফজলুল হক কাউসার মোল্লাহ, আব্দুল হাই খান আজকে পরিকল্পিতভাবে আমার আত্মীয়-স্বজনদের উপর সশস্ত্র হামলা করেছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, পরাজিত ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্দেশে স্থানীয় কাকন হাওলাদার, রিপন বেপারী, আলম মোল্লা, আলতাফ মোল্লা, বোরচরের সিদ্দিক, জহিরাবাধে ইউসুফ মেম্বার এবংেআহমদ আলি মৃধার নেতৃত্বে অজ্ঞাত প্রায় ৪/৫ শতাধিক লোক মশস্র হামলা করে। তারা ককটেল ফুটিয়ে পিস্তল, রামদা, টেঁটাসহ দেশী-বিদেশী সব অস্ত্র নিয়ে আমার আত্মীয়-স্বজন এবং সমর্থকদের বাড়িঘরে লুটপাট করে। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমাদের প্রায় ৫০ জন লোক আহত হয়েছে। তিনি প্রশাসনের কাছে এই ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

হাজীগঞ্জে ইসকনের আয়োজনে রথ যাত্রায় হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহণ

কাচিকাটা ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, বাড়ি-ঘর লুট, আহত অর্ধশতাধিক

Update Time : 05:05:17 pm, Wednesday, 27 March 2024

মেঘনা পশ্চিম তীরবর্তী কাচিকাটা ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বসতঘর ভাংচুর, লুটপাট এবং অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। ২৭ মার্চ বুধবার সকালে চাঁদপুরের পাশ্ববর্তী শরিয়তপুর জেলার ৯নং কাচিকাটা ইউপির দক্ষিণ মাথাভাঙা নজির খার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

কাচিকাটা ইউপি নির্বাচনে পরাজিত তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকেদের পরিকল্পিত সশস্ত্র হামলায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিজয়ী চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন দেওয়ান দাবী করেন।

এই এঘটনায় গুরুতর আহতরা হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য আল আমিন দেওয়ান (৩০), জয় গাজী, যুবলীগ নেতা সোনামিয়া দেওয়ান (৫০), বিল্লাল দেওয়ান (৩৫), নজির খান (৫০), সোলেমান দেওয়ান (৪০), জাহান উল্লাহ (৪০), ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লিটু দেওয়ানসহ আরো অনেকে। আহতদের মধ্যে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন দেওয়ান (৩০) এবং জয় গাজীর অবস্থা আসংখ্যাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

জাহান উল্লাসহ আহতদের অনেকে জানান, আমরা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। ভোটে জয় পরাজয় থাকবেই। আজ সকালে রিপন বেপারী এবং তার ভাইয়েরাসহ ৪/৫শ’ লোক আমাদের বাড়িঘর এবং মানুষেদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীদের হাতে ধারালো রামদা, চাপাতি, টেঁটাসহ দেশি বিদেশি অস্ত্র ছিলো। আমরা কোন কিছু বুঝে উঠারর আগে তারা আমাদের উপর অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা করে।

এ বিষয়ে কাচিকাটা ইউপির নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন দেওয়ান বলেন, গত ৯ মার্চ আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটসহ প্রশাসনের লোক দায়িত্বে ছিলেন। ফলে সুষ্টু ভোটের মাধ্যমে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। ভোটে পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী, কামরুল হাওলাদার, ফজলুল হক কাউসার মোল্লাহ, আব্দুল হাই খান আজকে পরিকল্পিতভাবে আমার আত্মীয়-স্বজনদের উপর সশস্ত্র হামলা করেছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, পরাজিত ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্দেশে স্থানীয় কাকন হাওলাদার, রিপন বেপারী, আলম মোল্লা, আলতাফ মোল্লা, বোরচরের সিদ্দিক, জহিরাবাধে ইউসুফ মেম্বার এবংেআহমদ আলি মৃধার নেতৃত্বে অজ্ঞাত প্রায় ৪/৫ শতাধিক লোক মশস্র হামলা করে। তারা ককটেল ফুটিয়ে পিস্তল, রামদা, টেঁটাসহ দেশী-বিদেশী সব অস্ত্র নিয়ে আমার আত্মীয়-স্বজন এবং সমর্থকদের বাড়িঘরে লুটপাট করে। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমাদের প্রায় ৫০ জন লোক আহত হয়েছে। তিনি প্রশাসনের কাছে এই ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।