ঢাকা ০১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-চাঁদপুর নৌ রুটে লঞ্চগুলো ফাঁকা, আরামদায়ক ভ্রমনে ঘরমুখী যাত্রীরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:১২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
  • ৭০ Time View

ঈদুল ফিতর খুবই সন্নিকটে। ঠিক এই মুহুর্তে আগের বছরগুলোতে সদরঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাটে লঞ্চ আসতো। কিন্তু এবছর চিত্র ভিন্ন। সব ধরণের প্রস্তুতি থাকলেও লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। যাত্রীদের জন্য বাড়ী ফেরা হচ্ছে আরামদায়ক ভ্রমন। স্বাভাবিক সময়ের মত যাত্রী নিয়ে আধা ঘন্টা পর পর লঞ্চগুলো ঘাটে ভিড়ছে। ঈদ উপলক্ষে এই রুটে ২৪টি বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল করছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত লঞ্চঘাটে অবস্থান করে সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা এমভি সোনারতরী, ময়ুর-২, এমভি মিতালী-৭ এবং বোগদাদিয়া লঞ্চের যাত্রী সংখ্যা খুবই কম দেখাগেল। চাঁদপুর ঘাট থেকে সদরঘাটের উদ্দশ্যে যাত্রীর অপেক্ষায় আব-এ জম জম-৭ অপেক্ষমান দেখা যায়।

এমভি মিতালীর যাত্রী মফিজুল ইসলাম খান বলেন, অন্য বছর এই সময়ে লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা থাকতো অনেক। সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা দাঁড়িয়ে চাঁদপুরে এসেছি। তবে এবারের লঞ্চ যাত্রা খুবই আরামদায়ক হয়েছে। তিনি চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকার বাসিন্দা।

ঢাকা থেকে আসা মতলব দক্ষিণের যাত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, সন্তানদের নিয়ে বাড়ীতে ঈদ উদযাপন করতে এসেছেন। এবারের যাত্রা খুবই আরাম দায়ক হয়েছে। কোন কষ্টই মনে হয়নি।

ঢাকায় প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরী করেন শরীফ হোসেন। তার বাড়ী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে। তিনি বলেন, লঞ্চে ভ্রমন আরামদায়ক হওয়ার কারণে সব সময় ঢাকা থেকে চাঁদপুর হয়ে বাড়িতে যান। তবে এবার লঞ্চে কোন ভীড় নেই, ভাড়াও আগের মত।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দায়িত্বর বিআইডাব্লিউটিএর ট্রাফিক পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, বিগত বছরগুলোতে এমন যাত্রীছিল ঘাটে দাঁড়ানোর অবস্থা থাকতো না। তবে এবার যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। আগামীকাল যদি যাত্রী আরো বেশীও থাকে তাতে কোন সমস্যা হবে না। আমাদের ২৪ টি বিলাসবহুল লঞ্চ আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া আর কোন ধরণের সমস্যা নেই।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান দুপুরে লঞ্চঘাট পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তিনি যাত্রী ও অটোরিকশা চালকদের মাঝে সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। তিনি বলেন, ঈদে সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো যাতে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, কোন ধরণের ডাকাতি কিংবা অন্য ঘটনার শিকার না হয়, সে জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে। ঘাটে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যাত্রীরা কোন ধরণের হয়রানির অভিযোগ করলে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কচুয়া পৌরসভার কোয়া নূর ই মদিনা জামে মসজিদের ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন

ঢাকা-চাঁদপুর নৌ রুটে লঞ্চগুলো ফাঁকা, আরামদায়ক ভ্রমনে ঘরমুখী যাত্রীরা

Update Time : ০৪:১২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

ঈদুল ফিতর খুবই সন্নিকটে। ঠিক এই মুহুর্তে আগের বছরগুলোতে সদরঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাটে লঞ্চ আসতো। কিন্তু এবছর চিত্র ভিন্ন। সব ধরণের প্রস্তুতি থাকলেও লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। যাত্রীদের জন্য বাড়ী ফেরা হচ্ছে আরামদায়ক ভ্রমন। স্বাভাবিক সময়ের মত যাত্রী নিয়ে আধা ঘন্টা পর পর লঞ্চগুলো ঘাটে ভিড়ছে। ঈদ উপলক্ষে এই রুটে ২৪টি বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল করছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত লঞ্চঘাটে অবস্থান করে সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা এমভি সোনারতরী, ময়ুর-২, এমভি মিতালী-৭ এবং বোগদাদিয়া লঞ্চের যাত্রী সংখ্যা খুবই কম দেখাগেল। চাঁদপুর ঘাট থেকে সদরঘাটের উদ্দশ্যে যাত্রীর অপেক্ষায় আব-এ জম জম-৭ অপেক্ষমান দেখা যায়।

এমভি মিতালীর যাত্রী মফিজুল ইসলাম খান বলেন, অন্য বছর এই সময়ে লঞ্চে যাত্রী সংখ্যা থাকতো অনেক। সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা দাঁড়িয়ে চাঁদপুরে এসেছি। তবে এবারের লঞ্চ যাত্রা খুবই আরামদায়ক হয়েছে। তিনি চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকার বাসিন্দা।

ঢাকা থেকে আসা মতলব দক্ষিণের যাত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, সন্তানদের নিয়ে বাড়ীতে ঈদ উদযাপন করতে এসেছেন। এবারের যাত্রা খুবই আরাম দায়ক হয়েছে। কোন কষ্টই মনে হয়নি।

ঢাকায় প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরী করেন শরীফ হোসেন। তার বাড়ী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে। তিনি বলেন, লঞ্চে ভ্রমন আরামদায়ক হওয়ার কারণে সব সময় ঢাকা থেকে চাঁদপুর হয়ে বাড়িতে যান। তবে এবার লঞ্চে কোন ভীড় নেই, ভাড়াও আগের মত।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দায়িত্বর বিআইডাব্লিউটিএর ট্রাফিক পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, বিগত বছরগুলোতে এমন যাত্রীছিল ঘাটে দাঁড়ানোর অবস্থা থাকতো না। তবে এবার যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। আগামীকাল যদি যাত্রী আরো বেশীও থাকে তাতে কোন সমস্যা হবে না। আমাদের ২৪ টি বিলাসবহুল লঞ্চ আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া আর কোন ধরণের সমস্যা নেই।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান দুপুরে লঞ্চঘাট পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তিনি যাত্রী ও অটোরিকশা চালকদের মাঝে সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। তিনি বলেন, ঈদে সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো যাতে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, কোন ধরণের ডাকাতি কিংবা অন্য ঘটনার শিকার না হয়, সে জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে। ঘাটে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যাত্রীরা কোন ধরণের হয়রানির অভিযোগ করলে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।