হাজীগঞ্জে নিজ বাড়ির পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে গেল আইমান (৬) ও নিরব (৭) নামের দুই শিশু। তাৎক্ষণিক দুইজনকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আইমানকে মৃত ঘোষণা এবং নিরবকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেপার করেন।
রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের জালাল উদ্দীন বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আইমান ওই বাড়ির মো. কাউসার হোসেনের ছেলে এবং নিরব একই বাড়ির মো. নুরুজ্জামানের ছেলে। আইমান ও নিরব তারা সম্পর্কে চাচাতো-জেঠাতো ভাই।
খবর পেয়ে শিশুর পরিবারদের সমবেদনা জানাতে এদিন বিকালে ওই বাড়িতে ছুটে যান, চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদসহ অন্যান্যরা।
নিহতের পারবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে বাড়ির অন্যান্য লোকজন নিজ বাড়ির পুকুরে গোসল করার সময় পুকুরে আসে আইমান ও নিরবসহ অন্যান্য শিশুরা। এসময় তারা শিশুদের তাঁিড়য়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু লোকজন গোসল করে পুকুর থেকে চলে যাওয়ার পর ওই শিশুরা আবারও পুকুরে আসে।
পরে শিশুরা পুকুরে গোসল করার সময় আইমান ও নিরব তলিয়ে যায়। এসময় সাথে থাকা শিশুদের ডাক-চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও বাড়ির লোকজন ছুটে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে আইমানকে মৃত ঘোষণা এবং নিরবকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেপার করেন।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. গোলাম মাওলা নঈম জানান, আইমানকে আমরা হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। অর্থ্যাৎ হাসপাতালে আনার পূর্বেই শিশুটি মারা গেছে। আর নিরবকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেপার করা হয়।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, নিহত শিশুর পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।