ঢাকা 12:34 pm, Saturday, 6 September 2025

ছাত্র-জনতার আন্দোলন-হাজীগঞ্জে ভাংচুর-লুটপাটের মামলায় পাঁচ আসামী জেল হাজতে

  • Reporter Name
  • Update Time : 07:00:23 pm, Tuesday, 11 February 2025
  • 47 Time View

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ গেল বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, লুটপাট ও কর্মচারিকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৫ আসামীকে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ গেল বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, লুটপাট ও কর্মচারিকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৫ আসামীকে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার আসামীরা আত্মসমর্পন করে জামিনের আবদেন করলে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামীরা হলেন-মহিন উদ্দিন (২৫), রাসেল ওরফে গোদা রাসেল (৩০), শুকু ওরফে শুকুর আলম (৪৮), আদর কাশারী (২০) ও রায়হান কাশারী (২৫)। আসামীরা হাজীগঞ্জ উপজেলার শ্রমিকলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

মামলার বিবরন থেকে জানাগেছে, গেল বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজার মেসার্স মার্সেল (ইলেকট্রোল্যান্ড) নামক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবী, পরবর্তীতে ভাংচুর, লুট ও কর্মচারিদের হামলা করে আহত করে। এতে প্রতিষ্ঠানের তিনটি ফ্লোরের ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৭১০টাকার মালামাল লুট ও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এই ঘটনায় ২০ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মিজানুর রহমান সেলিম বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ৭৪জন নামীয় ও ১০০-১৫০জন অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।

মামলার এজহার নামীয় উল্লেখিত ৫ আসামী গত চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। ওই ৬সপ্তাহ শেষ হলে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চাঁদপুর জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সরকার পক্ষের আইনীজীবী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. কুহিনুর বেগম। সহযোগি ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শামছুল ইসলাম মন্টু, এপিপি ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম ও মুজাহিদুল ইসলাম সাদ্দাম। আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. ইমাম হোসাইন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

বহুতল ভবন থেকে শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

ছাত্র-জনতার আন্দোলন-হাজীগঞ্জে ভাংচুর-লুটপাটের মামলায় পাঁচ আসামী জেল হাজতে

Update Time : 07:00:23 pm, Tuesday, 11 February 2025

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ গেল বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, লুটপাট ও কর্মচারিকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৫ আসামীকে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার আসামীরা আত্মসমর্পন করে জামিনের আবদেন করলে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামীরা হলেন-মহিন উদ্দিন (২৫), রাসেল ওরফে গোদা রাসেল (৩০), শুকু ওরফে শুকুর আলম (৪৮), আদর কাশারী (২০) ও রায়হান কাশারী (২৫)। আসামীরা হাজীগঞ্জ উপজেলার শ্রমিকলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

মামলার বিবরন থেকে জানাগেছে, গেল বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজার মেসার্স মার্সেল (ইলেকট্রোল্যান্ড) নামক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবী, পরবর্তীতে ভাংচুর, লুট ও কর্মচারিদের হামলা করে আহত করে। এতে প্রতিষ্ঠানের তিনটি ফ্লোরের ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৭১০টাকার মালামাল লুট ও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এই ঘটনায় ২০ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মিজানুর রহমান সেলিম বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ৭৪জন নামীয় ও ১০০-১৫০জন অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।

মামলার এজহার নামীয় উল্লেখিত ৫ আসামী গত চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। ওই ৬সপ্তাহ শেষ হলে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চাঁদপুর জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সরকার পক্ষের আইনীজীবী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. কুহিনুর বেগম। সহযোগি ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শামছুল ইসলাম মন্টু, এপিপি ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম ও মুজাহিদুল ইসলাম সাদ্দাম। আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. ইমাম হোসাইন।