ঢাকা ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুরে ৩৪তম আন্তজার্তিক এবং ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত

চার দেয়ালের মাঝে নয়, উম্মুক্ত স্থানেই বর্ণাঢ্য আয়োজন করলেন জেলা প্রশাসক

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১১ Time View

 চার দেয়ালের মাঝে না থেকে উম্মুক্ত স্থানে খোলা আকাশের নিচে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৩৪তম আন্তজার্তিক এবং ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সরকারি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্বর্ণ শিশুদের পরিবেশনায় কবিতা, গান, মূখ্য অভিনয়, নৃত্যের তালে হয়ে উঠে জমকালো ও আনন্দঘন পরিবেশ। স্বর্ণ শিশুদের (বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু) সেই আনন্দ উপভোগ করাটা ছিলো অন্যরকম প্রশান্তি।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার বলেন, আমাদের এসব শিশুরা সৃষ্টিকর্তার অশেষ দান। এসব শিশুদের মধ্যে যে প্রতিভা রয়েছে তা আমি আমার কার্যালয়ে বসে দিবসটি পালন করলে দেখতে পারতাম না। তাদের কাছে গিয়ে হাত মেলাতে গিয়ে যে হাসিটা আমি তাদের মূখে দেখেছি তা ছিলো অন্যরকম প্রশান্তি। যা আমি চার দেয়ালের মধ্যে থেকে আয়োজন করলে পেতাম না। এছাড়াও অনেকেই আমার কার্যালয়ে হয়তো যেতে পারতো না। এজন্যেই দিবসটি উদযাপন করতে উম্মুক্ত স্থানে আয়োজন করা।

তিনি উপস্থিত অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আজকে মায়েদের একটি স্বীকৃতির দিন। যে মায়েরা এ স্বর্ণ সন্তানদের জননী তাদেরকে স্যালুট দিতে চাই। আপনি আজকে স্পেশাল একজন মা। আজকের দিবসটি শুধুমাত্র আপনার সন্তানের জন্যেই পালন করা হচ্ছে সারাদেশে।

জেলা প্রশাসক চাঁদপুরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, চাঁদপুরের কিছু চন্দ্র সন্তান অবশ্যই আছে যারা গাছের তলায় বসেও কিছু করতে চায়। আপনাদের মধ্যে অনেকেই যারা কিছু না কিছু করতে চান। এমনও অনেকে আছেন যারা একবেলার খাবার দিয়ে আরেরেকজনের বাঁচার চিন্তা করেন। নিজের মনকে বড় করতে হবে। এসব সন্তানদেরকে শুধু অর্থ দিয়ে নয়, মন দিয়ে আদর করেন, জরিয়ে ধরেন, দেখবেন নিজের কাছে ভালো লাগবে। এই শিশুরা ভালোবাসার কাঙ্গাল। তাদেরকে ভালোবাসা দিবেন, আদর করবেন। দেখবেন পরদিন আপনাকে দেখলে দৌঁড়ে আসবে।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নুর আলম দীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. খায়রুল কবীর, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী।

আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সুমন নন্দী।

প্রতিবন্ধীদের মধ্যে বক্তব্য দেন কামাল মিজী, মো. সফিউল্লা। প্রতিবন্ধীদের মধ্যে কবিতা ও মূখ্য অভিনয় করেন নুরজাহান প্রমূখ।

আলোচনা সভার পূর্বে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালী বের হয়। র‍্যালিটি প্রাঙ্গণের বিভিন্ন অংশ ঘুরে আলোচনা সভায় এসে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচনার মাঝে সরকারি শিশু পরিবার ও বাক শ্রবণ শিশুর পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

১০ম গ্রেডসহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি প্রদান

চাঁদপুরে ৩৪তম আন্তজার্তিক এবং ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত

চার দেয়ালের মাঝে নয়, উম্মুক্ত স্থানেই বর্ণাঢ্য আয়োজন করলেন জেলা প্রশাসক

Update Time : ১০:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

 চার দেয়ালের মাঝে না থেকে উম্মুক্ত স্থানে খোলা আকাশের নিচে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৩৪তম আন্তজার্তিক এবং ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সরকারি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্বর্ণ শিশুদের পরিবেশনায় কবিতা, গান, মূখ্য অভিনয়, নৃত্যের তালে হয়ে উঠে জমকালো ও আনন্দঘন পরিবেশ। স্বর্ণ শিশুদের (বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু) সেই আনন্দ উপভোগ করাটা ছিলো অন্যরকম প্রশান্তি।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার বলেন, আমাদের এসব শিশুরা সৃষ্টিকর্তার অশেষ দান। এসব শিশুদের মধ্যে যে প্রতিভা রয়েছে তা আমি আমার কার্যালয়ে বসে দিবসটি পালন করলে দেখতে পারতাম না। তাদের কাছে গিয়ে হাত মেলাতে গিয়ে যে হাসিটা আমি তাদের মূখে দেখেছি তা ছিলো অন্যরকম প্রশান্তি। যা আমি চার দেয়ালের মধ্যে থেকে আয়োজন করলে পেতাম না। এছাড়াও অনেকেই আমার কার্যালয়ে হয়তো যেতে পারতো না। এজন্যেই দিবসটি উদযাপন করতে উম্মুক্ত স্থানে আয়োজন করা।

তিনি উপস্থিত অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আজকে মায়েদের একটি স্বীকৃতির দিন। যে মায়েরা এ স্বর্ণ সন্তানদের জননী তাদেরকে স্যালুট দিতে চাই। আপনি আজকে স্পেশাল একজন মা। আজকের দিবসটি শুধুমাত্র আপনার সন্তানের জন্যেই পালন করা হচ্ছে সারাদেশে।

জেলা প্রশাসক চাঁদপুরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, চাঁদপুরের কিছু চন্দ্র সন্তান অবশ্যই আছে যারা গাছের তলায় বসেও কিছু করতে চায়। আপনাদের মধ্যে অনেকেই যারা কিছু না কিছু করতে চান। এমনও অনেকে আছেন যারা একবেলার খাবার দিয়ে আরেরেকজনের বাঁচার চিন্তা করেন। নিজের মনকে বড় করতে হবে। এসব সন্তানদেরকে শুধু অর্থ দিয়ে নয়, মন দিয়ে আদর করেন, জরিয়ে ধরেন, দেখবেন নিজের কাছে ভালো লাগবে। এই শিশুরা ভালোবাসার কাঙ্গাল। তাদেরকে ভালোবাসা দিবেন, আদর করবেন। দেখবেন পরদিন আপনাকে দেখলে দৌঁড়ে আসবে।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নুর আলম দীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. খায়রুল কবীর, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী।

আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সুমন নন্দী।

প্রতিবন্ধীদের মধ্যে বক্তব্য দেন কামাল মিজী, মো. সফিউল্লা। প্রতিবন্ধীদের মধ্যে কবিতা ও মূখ্য অভিনয় করেন নুরজাহান প্রমূখ।

আলোচনা সভার পূর্বে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালী বের হয়। র‍্যালিটি প্রাঙ্গণের বিভিন্ন অংশ ঘুরে আলোচনা সভায় এসে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচনার মাঝে সরকারি শিশু পরিবার ও বাক শ্রবণ শিশুর পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।