কচুয়া উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ হাট বাজার ও প্রধান সড়ক গুলোতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ কম্বাইন্ড প্যাট্রলিং হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর থেকে কচুয়ার সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাই চৌধুরী,সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বরত কমান্ডার ও কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক সেনা ও পুলিশ সদস্য কচুয়া পৌর-শহরের জিরোপয়েন্ট,বিশ্বরোড এলাকায় ফায়ার সার্ভিস,বিশ্বরোড মাছের আরৎ,রহিমানাগর বাজার ও জগতপুর বাজার এলাকায় কম্বাইন্ড প্যাট্রলিং করেন। এসময় স্থানীয় মানুষজন ও ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলে এলাকার সমস্যা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতামত নেন এবং যেকোন প্রয়োজনে তাৎক্ষনিক পুলিশ ও সেনাবাহিনী কে অবগত করার জন্য মোবাইল নম্বর প্রদান করেন।
এছাড়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান কচুয়া বিশ্বরোড, রহিমানাগর বাজার ও জগতপুর বাজারে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ তল্লাসী বসিয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও বাস থামিয়ে কাগজপত্র যাচাই বাচাই তল্লাশি, সন্দেহভাজন গাড়ী ও ব্যক্তিবর্গকে করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এসময় বিভিন্ন পথচারি ও ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ চুরি ডাকাতির কোন সমস্যা জানতে চান এবং কোন সমস্যা হলে তাৎক্ষনিক সেনা ও পুলিশ কে জানানোর জন্য নম্বর প্রদান পূর্বক অনুরোধ করছেন।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ বোরহান উদ্দিন বলেন,অপরাধ দমনে টহল অব্যহত রাখা হবে, জনগণকে যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকা- বিষয়ে জনগন কে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করছি।
তিনি আরো বলেন,মাদকের বিরুদ্ধে সদর থানা পুলিশ কঠোর অবস্থানে। মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে কাজ করছি আমরা। কাজেই যারা মাদকের সাথে জড়িত আছেন তারা সময় থাকতে ভাল হয়ে যান। তওবা করে ফিরে আসেন।
এসময় কচুয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা রাশেদুল হক, রহিমানাগর বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ফারুকী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাজী কবির হোসেন, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিমসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসমাইল হোসেন বিপ্লব, কচুয়া ॥ 



















