চাঁদপুরের মতলব পৌরসভার বাইশপুর ও পূর্ব কলাদীর মাঝ দিয়ে বয়ে চলা ঝমঝম খালের উপরে প্রায় ৪০ বছর আগে নির্মিত লোহার ব্রিজটি দির্ঘদিন যাবত মেরামত না হওয়ায় ব্রীজের মাঝের অংশ ভেংগে গেছে। এতে এ ব্রীজ দিয়ে ১০ গ্রামের লোকজনের যাতায়াত ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সকল গ্রামের লোকজন ও শিক্ষার্থীরা।
দেখা গেছে, এ লোহার ব্রীজ দিয়ে সদর বাজারে পূর্ব দিকের দক্ষিণ বাইশপুর, দশপাড়া, ভাঙারপাড়, লক্ষীপুর, চর-লক্ষীপুর, দগরপুর, ধনারপাড়, বেলুতি, খাদেরগাঁও, লামচরী, ছোট লক্ষীপুর, বড় লক্ষীপুর গ্রামের লোকজন ও শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়া করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ।
ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজটি বর্তমানে মেরামতের অনুপযোগী হওয়ার কারণে এখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কয়েক মাস আগে ব্রিজটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সাবেক সহকারী কমিশনার( ভূমি) নিলয় রহমান বাঁশ দিয়ে মেরামত করে দেন।
স্থানীয়রা বলেন, তিন যুগেরও বেশি পুরোনো এই ব্রিজটি বর্তমানে মেরামতের অনুপযোগী। এ যেন দেখার কেউ নেই। একজন অসুস্থ রোগীকে স্ট্রেচারে করে নিতে হয় এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে। এতে রোগীর স্বজনরা থাকেন আতঙ্কে। ভঙ্গুর এই ব্রিজটি নিয়ে একাধিক বার সাংবাদ প্রকাশের পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় জনগণ।
দক্ষিণ বাইশপুর এলাকার বাসিন্দা পলাশ রায় ও ফারুক গাজী বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এই সেতু দিয়ে পূর্ব এলাকার ১০-১২ গ্রামের হাজারও মানুষ চলাচল করে। যে কোন সময় সেতুটি ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
পৌরসভার ১ ও ২নং ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, এলাকা থেকে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।
উপজেলা প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, এই ব্রিজটি মতলব পৌরসভার অধীনে। যদি পৌর কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নিতে না পারে, তবে আমাদের দপ্তর থেকে দেখা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক কে, এম ইশমাম বলেন, ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং চলাচলের জন্য ব্রিজটি বন্ধ করে দিয়েছি। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Reporter Name 























