অনলাইন ডেস্ক:
নবজাতককে ড্রেনে ফেলে দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে এক কিশোরী কলেজ ছাত্রী মা । পরে পুলিশ ওই কলেজ ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার জড়িত থাকায় তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা করে ওই প্রেমিককে আটক করে।
ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার উদয়ন আবাসিক এলাকায়।
পুলিশ কলেজ ছাত্রীর মামলার সূত্রধরে প্রেমিক আরমান লস্করকে (২৫) গ্রেফতার করেছে।
বুধবার দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার উদয়ন আবাসিক এলাকার বাসা থেকে লস্করকে গ্রেফতার করে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মেয়েটির দায়ের করা মামলায় প্রেমিক আরমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটিকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। নবজাতকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাস্থল যেহেতু হবিগঞ্জ সদর থানা এলাকায় তাই এ ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার আমীর খানি গ্রামের শামীম লস্করের ছেলে আরমান লস্কর শায়েস্তাগঞ্জের দাউদনগর বাজারের আচার বিক্রি করত। এর সুবাদে পরিচয় হয় ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে। পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হলে ওই কলেজছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি জানার পর থেকে আরমান মিয়া ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে সোমবার হবিগঞ্জে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেন।
স্থানীয়রা জানান, সন্তান প্রসবের পর পিতার পরিচয় না পাওয়ায় ক্ষোভে এবং লোকলজ্জার ভয়ে ওই কলেজছাত্রী ও তার মা নবজাতকটিকে সদর উপজেলার আব্দাখাই এলাকার একটি ডোবায় ফেলে দিতে যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে নবজাতকটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে কলেজছাত্রী প্রেমিক আরমানের নামে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।