ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের ঘর-বাড়ি কোপানো ও ভাঙচুর করেছে আরমান-ফাহিম নামের দুই কিশোরের নেতৃত্বাধীন কিশোরগ্যাং। গত ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার ফরিদগঞ্জ পৌর সভার ভাটিরগাঁও গ্রামের মোল্লা বাড়িতে এ হামলারঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্ত ভোগীদের মধ্যে বাবুল মোল্লা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত ৮ সেপ্টেম্বও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র কওে বাবুল মোল্লার ভাতিজা হাবীব মোল্লার সাথে কথা কাটা কাটি হয় আরমানের। এ সময় আরমান ও তার বন্ধু ফাহিম মিলে হাবীবকে মারধর করে। বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর বাবুল পাটওয়ারী পর্যন্ত গড়ালে তিনি বিষয়টি মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেন। এক পর্যায়ে কাউন্সিলরের সামনেই সংঘর্ষে জড়ায় উভয় গ্রুপ। এটিকে কেন্দ্র করেই গত ৯ সেপ্টেম্বও সন্ধ্যায় নির্বিচারে বাবুল মোল্লা, রাজু মোল্লা, জসিম মোল্লা, রহিমা বেগম ও মাহবুব বেপারী বসতঘর কুপিয়ে ও ভাঙচুর করে ত্রাসের সৃষ্টি করে আরমান ও ফাহিমের নেতৃত্বাধীন কিশোরগ্যাং। এ সময় বাবুল মোল্লার পরিবারের কোন সদস্য বাড়িতে ছিলেননা বলে এ প্রতিবেদককে জানান বাবুল মোল্লা।
বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর বাবুল পাটওয়ারী জানান, ‘আমার ছেলেকে ওরা পিঠিয়েছে। যার জন্যে প্রতিকার চেয়ে আমি থানায় মামলা করেছি।’ প্রতিপক্ষের বসত-ঘর ও পাক ঘরের ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে জানান, ‘পাক ঘরের টিন ছিলো নরম। এগুলো তারা হাত দিয়ে ছিড়ে ফেলেছে। রাতের বেলায় কে বা কারা এঘটনা ঘটিয়েছে সেটা আমাদের জানা নেই।’
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ভুক্তভোগী যদি থানায় মামলা করে, তাহলে আমরা সেটা আমরা আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।’
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি।
আমি অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় আছি। আপনারা বিষয়টি নবাগত ওসিকে জানান। কিশোররা দিন দিন নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এদেরকে শক্ত হাতে ধমন করতে হবে। কোনো অবস্থাতে কিশোর গ্যাংদের ছাড় দেওয়া যাবে না।