নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে ঘরে সিঁধ কেটে চুরি করতে ঢুকে মা-মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামি সাবেক মেম্বার এবং চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের মুন্সিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চরকাজী মোখলেছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী তিন সন্তানের জননী ও নির্যাতিত শিশু স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে হাতিয়া থেকে এসে চরকাজী মোখলেছ গ্রামে নতুন বাড়ি করেন একজন দিনমজুর। একা ওই বাড়িতে তার স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ বসবাস করতেন তিনি। গত দুই দিন আগে কাজের সন্ধানে তিনি বাড়ির বাইরে যান। এ সময় বাড়িতে তিন মেয়েকে নিয়ে ছিলেন ওই গৃহবধূ।
ভুক্তভোগী জানান, রাত আনুমানিক ২টার দিকে ঘরের সিঁধ কেটে ভেতরে প্রবেশ করে একজন। পরে সে ঘরের দরজা খুলে দিলে আরও দুইজন ভেতরে প্রবেশ করে। এদের মধ্যে দুইজন পালাক্রমে ওই গৃহবধূকে এবং একজন তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ওই গৃহবধূর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘরে থাকা স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। গভীর রাতে শিশুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গৃহবধূর বাঁধন খুলে দেয় এবং বিষয়টি চরজব্বার থানায় অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল জানান, খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত পুলিশ ওই স্থানে ছিল। সকালে ভুক্তভোগীদের থানায় আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং মামলা হয়েছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় প্রধান আসামি সাবেক মেম্বার এবং চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের মুন্সিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যরা পলাতক আছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন বলেন, দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা চলছে।