ঢাকা 8:02 pm, Friday, 27 June 2025

জেনে নিন, শাওয়াল মাসের ছয় রোজার ফজিলত

  • Reporter Name
  • Update Time : 04:56:25 pm, Monday, 15 April 2024
  • 1 Time View

রমজানের রোজা ইসলামের ফরজ বিধানের অন্তর্ভুক্ত। এর বাইরে পুরো বছর বিভিন্ন সুন্নত ও নফল রোজা রয়েছে। যা সময় অনুযায়ী পালন করে থাকেন মুসলমানেরা। এই সুন্নত রোজাগুলোর মধ্যে রমজানের পরেই প্রথম পালনীয় হলো শাওয়ালের ৬ রোজা।

এই রোজা সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের সব ফরজ রোজাগুলো রাখল অতঃপর শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারাবছর ধরেই রোজা রাখল। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬৪)

অর্থাৎ, রমজানের রোজা ১০ মাসের রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ৬ রোজা ২ মাসের রোজার সমান। সুতরাং এ হলো এক বছরের রোজা।

যে ব্যক্তি রমজানের রোজা শেষ করে ৬ দিন রোজা রাখবে সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য। (কেননা) মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ঘোষণা করেন

مَنۡ جَآءَ بِالۡحَسَنَۃِ فَلَهٗ عَشۡرُ اَمۡثَالِهَا

‘যে কোনো সৎকাজ নিয়ে এসেছে, তার জন্য প্রতিদান হবে তার দশগুণ’। (সূরা আনআম, আয়াত : ১৬০)

এভাবে রমজানের ৩০ রোজা এবং শাওয়ালের ৬ রোজা মোট ৩৬ রোজা ১০ দিয়ে গুণ দিলে ৩৬০ রোজার সমান হয়ে যায়, আর ৩৬০ দিনে এক বছর। সুতরাং ৩৬টি রোজায় সারাবছর রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়।

ঈদুল ফিতরের পরের দিন থেকে শাওয়ালের রোজা রাখা শুরু করা যায়। তবে এই রোজা শুরু করার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত এক হাদিসে আছে রাসূল সা. বলেছেন, ঈদুল ফিতরের পর ধারাবাহিকভাবে যে ব্যক্তি ছয়টি রোজা রাখল সে যেন বছরজুড়ে রোজা রাখল। (আল মুজামুল কাবির : ৭৬০৭)।

শাওয়ালের দুই তারিখ থেকেই টানা ছয় রোজা রাখা ইমাম শাফিয়ি, ইবনুল মুবারকসহ কোনো কোনো বুযর্গের পছন্দের ছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে ২ ডাকাত গ্রেপ্তার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার

জেনে নিন, শাওয়াল মাসের ছয় রোজার ফজিলত

Update Time : 04:56:25 pm, Monday, 15 April 2024

রমজানের রোজা ইসলামের ফরজ বিধানের অন্তর্ভুক্ত। এর বাইরে পুরো বছর বিভিন্ন সুন্নত ও নফল রোজা রয়েছে। যা সময় অনুযায়ী পালন করে থাকেন মুসলমানেরা। এই সুন্নত রোজাগুলোর মধ্যে রমজানের পরেই প্রথম পালনীয় হলো শাওয়ালের ৬ রোজা।

এই রোজা সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের সব ফরজ রোজাগুলো রাখল অতঃপর শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারাবছর ধরেই রোজা রাখল। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬৪)

অর্থাৎ, রমজানের রোজা ১০ মাসের রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ৬ রোজা ২ মাসের রোজার সমান। সুতরাং এ হলো এক বছরের রোজা।

যে ব্যক্তি রমজানের রোজা শেষ করে ৬ দিন রোজা রাখবে সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য। (কেননা) মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ঘোষণা করেন

مَنۡ جَآءَ بِالۡحَسَنَۃِ فَلَهٗ عَشۡرُ اَمۡثَالِهَا

‘যে কোনো সৎকাজ নিয়ে এসেছে, তার জন্য প্রতিদান হবে তার দশগুণ’। (সূরা আনআম, আয়াত : ১৬০)

এভাবে রমজানের ৩০ রোজা এবং শাওয়ালের ৬ রোজা মোট ৩৬ রোজা ১০ দিয়ে গুণ দিলে ৩৬০ রোজার সমান হয়ে যায়, আর ৩৬০ দিনে এক বছর। সুতরাং ৩৬টি রোজায় সারাবছর রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়।

ঈদুল ফিতরের পরের দিন থেকে শাওয়ালের রোজা রাখা শুরু করা যায়। তবে এই রোজা শুরু করার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত এক হাদিসে আছে রাসূল সা. বলেছেন, ঈদুল ফিতরের পর ধারাবাহিকভাবে যে ব্যক্তি ছয়টি রোজা রাখল সে যেন বছরজুড়ে রোজা রাখল। (আল মুজামুল কাবির : ৭৬০৭)।

শাওয়ালের দুই তারিখ থেকেই টানা ছয় রোজা রাখা ইমাম শাফিয়ি, ইবনুল মুবারকসহ কোনো কোনো বুযর্গের পছন্দের ছিল।