ঢাকা 7:08 am, Friday, 18 July 2025

অসম প্রেম; টাঙ্গাইলের কিশোরীর প্রেমের টানে ছুটে এলো কিশোরগঞ্জের তরুণী

  • Reporter Name
  • Update Time : 12:15:57 pm, Thursday, 25 April 2024
  • 10 Time View

ছবি-সংগৃহিত।

টাঙ্গাইলে দুই মাদরাসাছাত্রীর মধ্যে অসম প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তারা একসঙ্গে রাত্রিযাপনও করেছেন। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হলে জামিন দিয়েছেন বিচারক।

সম্প্রতি টাঙ্গাইলের গোপালপুরে এমনই ঘটনা ঘটেছে। এদের একজন গোপালপুরের দাখিল শ্রেণির ছাত্রী। অপরজন কিশোরগঞ্জের আলিম শ্রেণির ছাত্রী। কিশোরগঞ্জের ওই তরুণী তিনদিন আগে গোপালপুরে আসেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, এক বছর আগে গোপালপুরের ওই কিশোরীর সঙ্গে ফেসবুকে কিশোরগঞ্জের তরুণীর পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত আগস্টে কিশোরী কিশোরগঞ্জে ওই তরুণীর বাড়িতে যায় এবং বান্ধবী পরিচয়ে একসঙ্গে রাত্রিযাপন করে। এর ধারাবাহিকতায় তিনদিন আগে গোপালপুরে আসেন ওই তরুণী। দেড় হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন বাসা ভাড়া নেন। তাদের চলাফেরা সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে পুলিশ এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন ও উভয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বাসার মালিক আব্দুল বারী বলেন, চাকরিজীবী পরিচয় দিয়ে তারা তিনদিন আগে বাসা ভাড়া নিয়েছেন। অসহায় ভেবে আমি রুম ভাড়া দিই। তাদের এমন অসম সম্পর্ক আমি কল্পনাও করতে পারিনি।

এ বিষয়ে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক তৈয়ব বলেন, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। অভিভাবকদের সতর্ক থাকা উচিত। দুই ছাত্রীকে সোমবার (২৩ এপ্রিল) আদালতে পাঠানো হয়েছে।

টাঙ্গাইল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান জানান, ছাত্রীদের মধ্যে একজনের বয়স আঠারোর ওপরে, অন্যজনের নিচে। ১৮ বছর বয়সী তরুণীকে গোপালপুর আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিসেস রুমি খাতুন জামিন এবং কিশোরীকে নারী ও শিশু আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একইদিন কিশোরীকেও জামিন দিয়েছেন নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মাহবুবুর রহমান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে আঁকা হচ্ছে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’র গ্রাফিতি

অসম প্রেম; টাঙ্গাইলের কিশোরীর প্রেমের টানে ছুটে এলো কিশোরগঞ্জের তরুণী

Update Time : 12:15:57 pm, Thursday, 25 April 2024

টাঙ্গাইলে দুই মাদরাসাছাত্রীর মধ্যে অসম প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তারা একসঙ্গে রাত্রিযাপনও করেছেন। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হলে জামিন দিয়েছেন বিচারক।

সম্প্রতি টাঙ্গাইলের গোপালপুরে এমনই ঘটনা ঘটেছে। এদের একজন গোপালপুরের দাখিল শ্রেণির ছাত্রী। অপরজন কিশোরগঞ্জের আলিম শ্রেণির ছাত্রী। কিশোরগঞ্জের ওই তরুণী তিনদিন আগে গোপালপুরে আসেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, এক বছর আগে গোপালপুরের ওই কিশোরীর সঙ্গে ফেসবুকে কিশোরগঞ্জের তরুণীর পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত আগস্টে কিশোরী কিশোরগঞ্জে ওই তরুণীর বাড়িতে যায় এবং বান্ধবী পরিচয়ে একসঙ্গে রাত্রিযাপন করে। এর ধারাবাহিকতায় তিনদিন আগে গোপালপুরে আসেন ওই তরুণী। দেড় হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন বাসা ভাড়া নেন। তাদের চলাফেরা সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে পুলিশ এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন ও উভয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বাসার মালিক আব্দুল বারী বলেন, চাকরিজীবী পরিচয় দিয়ে তারা তিনদিন আগে বাসা ভাড়া নিয়েছেন। অসহায় ভেবে আমি রুম ভাড়া দিই। তাদের এমন অসম সম্পর্ক আমি কল্পনাও করতে পারিনি।

এ বিষয়ে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক তৈয়ব বলেন, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। অভিভাবকদের সতর্ক থাকা উচিত। দুই ছাত্রীকে সোমবার (২৩ এপ্রিল) আদালতে পাঠানো হয়েছে।

টাঙ্গাইল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান জানান, ছাত্রীদের মধ্যে একজনের বয়স আঠারোর ওপরে, অন্যজনের নিচে। ১৮ বছর বয়সী তরুণীকে গোপালপুর আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিসেস রুমি খাতুন জামিন এবং কিশোরীকে নারী ও শিশু আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একইদিন কিশোরীকেও জামিন দিয়েছেন নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মাহবুবুর রহমান।