আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সে কী ছিল বড় কথা নয়, তার জনপ্রিয়তা দেখেই দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছে।’
চিকিৎসা করাতে গিয়ে ভারতে হত্যার শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার স্বর্ণ চোরাচালানকারী ছিলেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নবগঠিত যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্যদের পরিচিতি সভা ও ঈদ পুনর্মিলনী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের প্রশ্ন করে বলেন, আপনারা এখন বলছেন কলকাতায় তাকে চোরাকারবারি বলছে। আমি সাংবাদিকদের বলব— আপনারা কি তিন-তিনবার জাতীয় সংসদের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন, তখন কি আপনারা এটা পেয়েছেন। এখন ভারতীয় সাংবাদিকরা কোন তথ্য আনল, সেটার উদ্ধৃতি দিচ্ছেন। আপনারা তো এই দেশের নাগরিক, সে যদি অপরাধী হয়, সেই অপরাধটা আপনাদের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে কেন এলো না।
তিনি বলেন, সংসদ সদস্যকে কলকাতায় হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে আমরা কিছু বলতে পারব না। তবে তিনি আওয়ামী লীগের এমপি। সে কি ছিল সেটা বড় কথা নয়; যে এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে সেই এলাকা গিয়ে দেখুন, তার জন্য শোকার্ত মানুষের হাহাকার, সে প্রতিনিয়ত কোনো গাড়ি নয়, মোটরসাইকেলে করে সারা এলাকা ঘুরত। তাকে আমরা তৃতীয়বার মনোনয়ন দিয়েছি জনপ্রিয়তা দেখে। এখন সে ভেতরে কোনো অপকর্ম করে কিনা— এসব যখনই প্রমাণিত হয় প্রধানমন্ত্রী কিন্তু জিরো টলারেন্স। অন্যায়কারী, অপরাধী দলের লোক হলেও তিনি ছাড় দেন না।
দেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমার সময়েই প্রথম ফুটবলে সাফ গেমসে গোল্ড পেয়েছিল বাংলাদেশ। নেপালকে ১-০ তে পরাজিত করে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ক্রিকেটেও আমি যখন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তখন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়েছিল। দুটা বিজয় এসেছিল, স্কটল্যান্ডের সঙ্গে, আরেকটি পাকিস্তানের সঙ্গে। বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদা পেয়েছিল। সেই সময় প্রতিবন্ধীরাও ২০টি পদক জিতেছিল। মালদ্বীপের কাছে যখন বাংলাদেশ হারে তখন খুব লজ্জা করে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও উপকমিটির চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও উপকমিটির কো-চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং উপকমিটির সদস্যসচিব মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা।