চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ্ মাহমুদপুর ইউনিয়নের লোধেরগাঁও গ্রাম থেকে গৃহবধূ সোনিয়া আক্তারের (২০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মাহবুব হোসেন মল্লিক ও শ্বশুর অহিদ মললিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে।
শনিবার (৩০জুন) দিনগত রাতে লোধেরগাঁও মল্লিক বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন সোনিয়ার ভাই মারজুক।
গৃহবধু সোনিয়ার মা বিউটি বেগম বলেন, কোটে মামলা দিয়েছি। মেয়ে আমার বাড়ীতে ছিল। তারা এসে মেয়েকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। নিয়ে মারধর করতো। তারাই আমার মেয়েকে মেরে ফেললো।
ভাই মারজুক বলেন, আমার বোনকে রমজানে তুলে নেয়। তারপর বোনকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়নি। তারাই আমার বোনকে কিভাবে মারা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার চাই।
তিনি আরো জানায়, এরপূর্বে চাঁদপুর সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে বিভিন্ন খাত ও যৌতুক বাবাদ ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ফেরত চেয়ে মামলা দায়ের করেন সোনিয়া। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বাড়িতে আরও যৌতুক দেয়া নিয়ে বিভিন্ন সময় মারধর ও হুমকি-ধমকি দেয়ায় থানায় অভিযোগসহ এলাকায় শালিশী বৈঠক হয়। সোনিয়ার বাবার বাড়ী ও স্বামীর বাড়ী একই গ্রামে। দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের কোন সন্তান নেই।
এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ছেলের বিরুদ্ধে মেয়ে আদালতে মামলা করছে। ছেলেপক্ষ আদালতে হাজির হয়নি। আরো একটি অভিযোগে কুদ্দুছ দারোগোয় ছেলেপক্ষকে ডাকার পরও তারা থানায়ও হাজির হয়নি। এখন রাতে সোনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কুদ্দুছ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। এ বিষয়ে আদলতে একটি মামলা চলমান। আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলায় স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করা হয়েছে। গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।