নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারা দেশে ওয়ার্ড থেকে শুরু করে মহানগর পর্যন্ত বিএনপির কমিটি শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন দলের শীর্ষ একাধিক নেতা। এদিকে কমিটিতে পদ পেতে যার যার অবস্থান থেকে দৌড়-ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন সম্ভাব্য নেতারা।
তৃনমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, যাদের সাংগঠনিক দক্ষতা বেশি, অভিজ্ঞতা আছে। রয়েছে ক্লিন ইমেজ। যাদের কাছে জনগনের জানমাল ও ইজ্জত নিরাপদ এমন নেতাকেই নেতৃত্বে আনা উচিৎ। সবকিছুুু বিবেচনায় নিয়ে নেতৃত্ব নির্ধারন করবেন বিএনপির হাইকমান্ড।
তাদেরই একজন ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি তারিকুল ইসলাম সরকার। তিনি ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সহিত পালন করেছেন ১০ বছর, তারপর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন আরো ৫ বছর সেখান থেকে উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত পালন বেশ ক’বছর।
নিজেকে সৎ, যোগ্য ও দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ দাবি করে তারিকুল ইসলাম সরকার বলেন, ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে যোগ্য নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি। আমি ছাত্রজীবন থেকে রাজনৈতিক আদর্শে সততার সঙ্গে কাজ করে এসেছি। মাঠ পর্যায়ে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। তবে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক এবং ক্যাসিনোর মতো জুয়ায় নিজেকে কখনো জড়াইনি। এসব অপকর্মের বিরোধিতা করে এসেছি সবসময়।’
দলের হাইকমান্ড ‘ক্লিন ইমেজ’ নেতৃত্ব খুঁজছেন জানিয়ে তারিকুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, সিনিয়র নেতাদের দূরদর্শী চিন্তা-চেতনায় এবং তীক্ষè নজরে আমি বাদ পড়ব না যোগ্যতার বিচারে। দলের দুঃসময়ে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ভূমিকা রেখেছি।
‘আজকে দলের সুদিনে এসেছে। আশা করছি, আমাদের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। সেই দৃষ্টিকোণে আমি ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে সভাপতি প্রার্থী হতেই পারি।’
সভাপতি মনোনীত হলে আগামী পরিকল্পনা কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে তারিকুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘বিশ^নন্দিত জননেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক বিএনপিকে ঢেলে সাজাব। তৃণমূল পর্যায়ে অবহেলিত এবং ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীদের সক্রিয় করে জনগণের কাছে বিএনপির রাজনীতির সুবাতাস ছড়িয়ে দেব।’