ঝুঁকিপূর্ণ গাছ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক ক্ষুৃদ্র ব্যবসায়ী। ঝড়ে বিশাল দেহী একটি রেইনট্রি কড়ই গাছ দোকানের কিছু অংশ ভেঙ্গে হেলে পড়ে আছে। কিন্তু সরকারি গাছ নিজ দায়িত্বে না কাটে দীর্ঘ ৫/৬ মাস প্রশাসনিক দপ্তরে ঘুরেও লাভ হয়নি ভুক্তভোগী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর। বিভাগ জটিলতার কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। দোকানের সামনের অংশ জুড়ে বিশাল গাছটি হেলে থাকায় দোকান খোলা সম্ভব হচ্ছে না।
দোকানের মালিক সামছুল হক মিজি সাংবাদিকদের জানান, বিগত ৫/৬ মাস আগে ঝড়ে গাছটি তার দোকানে হেলে পড়ে। এতে দোকানের টিনের ছালের কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। সরকারি গাছ তাই আমি যথাযথ নিয়ম মেনে গাছটি সরাতে চাই কিন্তু উপজেলায় গিয়ে কারো সহযোগিতা পাচ্ছি না। এলজিআরডি অফিসে গেছি তারা বলে এটা তাদের গাছ না।
ভাটিয়ালপুর হরিনা সড়কের গাছটি উপজেলার ৯নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের নয়াহাট বাজারের সৌদিয়া মার্কেটের পাশে। ঐ অংশটুকু পড়েছে ১০নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে। নিয়মের কথা বলে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে আরো ক্ষতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অথচ বেশ কয়েক মাস ধরে প্রশাসনকে না জানিয়ে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার পাশের অসংখ্য গাছ কেটে নিয়ে গেছে, সেদিকে প্রশাসনের খেয়াল নেই। যেখানে প্রশাসনের উচিত ছিলো নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীর ঘরের উপরে পড়ে থাকা গাছ সরিয়ে নেওয়ার সেখানে ঘটেছে উল্টো ঘটনা। আজ ৫/৬ মাস প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে গাছটি কাটানো সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, যেহেতু গাছটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের; আমরা আবেদনটি চাঁদপুর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে মুঠো ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এ সংক্রান্ত আমরা একটি চিঠি পেয়েছি। সে চিঠি ইতোমধ্যে কুমিল্লায় পাঠিয়ে দিয়েছি। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখবো।