চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ৯ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে মেহেদী হাসান (১৭) নামে এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে উপজেলার প্রত্যাশি এলাকা থেকে তাকে আটক করার পর সোমবার চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর সঙ্গে মেহেদী হাসানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২১ ডিসেম্বর রাতে ওই শিক্ষার্থী পালিয়ে প্রেমিক মেহেদীর এলাকায় চলে আসে। মেহেদী আলমগীর নামে তার এক সহযোগীর সহায়তায় প্রেমিকা শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে। পরে ওই শিক্ষার্থীকে রাস্তায় একা ফেলে রেখে মেহেদী ও তার সহযোগী আলমগীর পালিয়ে যায়।
পরে শোভান এলাকার স্থানীয় এক দোকানদার গভীর রাতে শিক্ষার্থীকে রাস্তায় একা দেখতে পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থী হঠাৎ আলমগীরকে পালিয়ে যেতে দেখতে পেয়ে নাম ধরে তাকে ডাক দেয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা আলমগীরের সহায়তায় মেহেদীকে চিহ্নিত করে এবং ওই শিক্ষার্থীকে তার পিতার হেফাজতে দেয়। পরদিন সকালে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে মেহেদীকে প্রধান আসামি করে দুইজনের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, এ ঘটনায় মামলার পর মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।