হাজীগঞ্জে মনির হোসেন মনা (৪৬) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এর আগে এ দিন দুপুরে উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের দশানী বাড়ির মনা মিয়ার বসতঘর থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি ওই বাড়ির মৃত আব্দুল জব্বার মিয়ার ছেলে।
নিহতের ভাতিজা ইয়াছিন জানান, সকালে ঘুম থেকে না উঠায় মনা মিয়াকে জাগাতে যান তার চাচী। এ সময় তিনি মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার শুরু করেন। এর আগে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে গত ৩০ নভেম্বর মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই সময়ে তাদের পরিবারের সবাই কম বেশি আহত হন। এর মধ্যে মনা মিয়া ও তার ছেলেসহ ৯জন গুরুতর আহত হয়ে হাজীগঞ্জ, কুমিল্লায় ও ঢাকা চিকিৎসা নিয়েছেন। মনা মিয়ার ছেলে মূমূর্ষূ অবস্থায় এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মৃত মনা মিয়ার ২ ছেলে এক মেয়ে।
এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের করেন প্রতিপক্ষের লোকজন এবং তারাও নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর মনা মিয়া চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসেন এবং ১৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হলে বিচারক তাদের জামিন দেন। সবশেষ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১২টা দিকে চাচার মাথা ব্যথা শুরু হয়। এরপর ঔষধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন এবং সকালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওই সময়ে মারধরের ঘটনায় চাচা গুরুতর আহত হন। আমরা টাকার অভাবে চাচাকে ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনি। যার ফলে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় আমরা থানায় অর্ভিযোগ দিবো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক জানান, নিহত মনির হোসেন মনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এসময় তিনি বলেন, যেহেতু পূর্বের মামলা রয়েছে তাই ওই মামলায় নতুন করে ধারা অর্ন্তভুক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।