মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে অবশেষে সেনাবাহিনী এসে নিয়ন্ত্রণ করে।
পাবনার বেড়ায় উপজেলায় বুধবার দুপুরের দিকে বেড়া বাজার এলাকার কাদের ডাক্তারের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ জানা গেছে, ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বেড়া পৌর ছাত্রদলের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরের দিকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। মিছিলের অগ্রভাগটি বেড়া বাজার হয়ে কাদের ডাক্তারের মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। এসময় মিছিলের শেষের অংশ ধানিয়া হাটা মসজিদের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সামনে যাওয়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রথমে মিছিলের পেছনে থাকা বনগ্রাম সওদাগর পাড়ার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শেখপাড়া মহল্লার নেতা-কর্মীদের হাতাহাতি শুরু হয়। পরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে শেখপাড়া মহল্লার সঙ্গে হাতিগাড়া মহল্লার নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মোল্লাসহ (৪৮) উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুজন বনগ্রাম মহল্লার পবন সওদাগরের ছেলে রাহাত সওদাগর (১৭) এবং পিন্টু মিয়ার ছেলে আবু হানিফকে চিকিৎসার জন্য বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আহতরা হলেন সাকিল (২২), তুষার সওদাগর (২৫), রাসেল (২৫), শাহজাহান (৩৮), আয়মান (২৬), মনিরুল (২২), কাওসার (২৭), ইমরান (২৯), সোলাইমান শেখ (৪৫), ইয়াছিন (২০)। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোরশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর দুই প্লাটুন সদস্য ও বেড়া, সাঁথিয়া এবং আমিনপুর থানার পুলিশ দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অলিউর রহমান বলেন, বেড়া, সাঁথিয়া ও আমিনপুর থানার পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।