মামলা স‚ত্রে জানা গেছে, ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন গত ৪ আগস্ট, রোববার) বিকালে নিজ বসতবাড়ির সামনে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি হিমেলের বাবা আজাদ সরকারকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতেই কুমিল্লায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এই ঘটনায় ১৪ আগস্ট, বুধবার হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে হিমেল সরকার। মামলায় মামলার এজাহারে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলার নামীয় আসামি হিসেবে বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকা থেকে আলহাজ¦ জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে র্যাব ও পুলিশের একটি আভিযানিক দল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে ঢাকা থেকে আলহাজ¦ জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে হাজীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হবে। এসময় অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত : আজাদ সরকার হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ড টোরাগড় এলাকার সরকার বাড়ির মৃত আনু সরকারের ছেলে। হত্যা মামলায় একই এলাকার কাজী বাড়ির ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিঠু কাজী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবারক কাজী, আওয়ামী লীগ নেতা বশির কাজী, বাদল কাজী ও নুরু কাজী, ছাত্রলীগ নেতা তুষার কাজী, রাকিব কাজী, সিয়াম কাজী ও রুবেল কাজীকে আসামি করা হয়।
এছাড়াও পৌরসভাধীন মকিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলম শুভ ও তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন আজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচৈ গ্রামের আলহাজ¦ জসিম উদ্দিন, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মৈশামূড়া গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে সুমনকে আসামি করা হয়।