ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাইমচরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, বাড়ী-ঘরে আগুন, আহত ৬

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:০৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৭৬ Time View

হাইমচর থানা। ছবি-সংগৃহিত।

হাইমচরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলা ও বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৬জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সকাল ৭টার সময় হাইমচর উপজেলার উত্তর আলগী গ্রামের বাচ্চু মিজি বাড়ির সামনে দোকানে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে প্রথমে চাঁদপুর পরে ঢাকায় রেফার করা হয়।

এদিকে বসতঘরে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। আগুন লাগানোর বিষয়ে উভয় পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করারও অভিযোগ রয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাচ্চু মিজি ও নুরুল আমিন মিজি সম্পর্কে একে অপরের চাচাতো ভাই। তাদের মাঝে জমি ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাদের দুপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জমির দলিল উঠানোর জন্য বাচ্চু মিজি নূরুল আমিন মিজির নিকট ২ হাজার টাকা দেন। নূরুল আমিন মিজি দলিলের নকল না দেয়ায় বাচ্চু মিজির সাথে গত সোমবার সন্ধ্যায় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। শাহালম মিজির ছেলে রাকিব নূরুল আমিন মিজির গায়ে হাত উঠায়। স্থানীয় লোকজন তখন মীমাংসা করে দেন। পরের দিন সকাল ৭টার সময় নুরুল আমিন মিজি, মোহাম্মদ আমিন মিজি ও ইব্রাহিম মিজিরা তাদের ছেলে ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে নিয়ে এসে খোরশেদ মিজির উপর হামলা চালায়। এর পরপরই দুপক্ষের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলে উভয় পক্ষের ৬ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করেন। পরে তাদেরকে ঢাকায় রেফার করা হয়। খোরশেদ আলম মিজির অবস্থা জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তবে বসতঘরে আগুন লাগানোর বিষয়ে স্থানীয় লোকজন জানান, উভয় পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষের লোকই আহত হয়। এক পক্ষ কম আরেক পক্ষ বেশি। বাচ্চু মিজিরা লোকজন কম থাকায় তারা নুরুল আমিন মিজিদের হামলায় গুরুতর আহত হয় বেশি। তবে নুরুল আমিন মিজির লোকেরা বাচ্চু মিজির ঘরে আগুন দেয়নি এটাও সত্য।

শাহালম মিজির ছেলে রাকিব জানান, আমার বাবা শাহালম মিজি ও খোরশেদ চাচা সকালে নাস্তা করতে দোকানে গেলে নুরুল আমিন মিজি লোকজন নিয়ে

পরিকল্পিতভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। আমার বাবাকে ও চাচাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে নুরুল আমিন মিজি ও তার ছেলেরা এসে আমাদের বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। বাড়ির লোকজন ৯৯৯ ফোন দিয়ে সহযোগিতা চাইলে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। তখন বাড়ির লোকজন পানি দিয়ে আগুন নেভায়।</

নুরুল আমিন মিজির ছেলে জুয়েল জানান, গতকাল সন্ধ্যায় আমার বাবা চায়ের দোকানে গেলে বাবার সাথে শাহালম মিজির কথা কাটাকাটি হয়। তখন শাহালম মিজির ছেলে রাকিব আমার বাবার গায়ে হাত তোলে। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে পরদিন সকালে তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা পুনরায় উত্তেজিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে আমরা তাদের ওপর পাল্টা হামলা করি। পরে তারা আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য নিজেদের ঘরে নিজেরা আগুন লাগায়। </

হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন জানান, উত্তর আলগী গ্রামে মারামারির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ হয় নি। অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</p> </div>

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

১০ম গ্রেডসহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি প্রদান

হাইমচরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, বাড়ী-ঘরে আগুন, আহত ৬

Update Time : ১১:০৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হাইমচরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলা ও বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৬জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সকাল ৭টার সময় হাইমচর উপজেলার উত্তর আলগী গ্রামের বাচ্চু মিজি বাড়ির সামনে দোকানে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে প্রথমে চাঁদপুর পরে ঢাকায় রেফার করা হয়।

এদিকে বসতঘরে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। আগুন লাগানোর বিষয়ে উভয় পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করারও অভিযোগ রয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাচ্চু মিজি ও নুরুল আমিন মিজি সম্পর্কে একে অপরের চাচাতো ভাই। তাদের মাঝে জমি ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাদের দুপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জমির দলিল উঠানোর জন্য বাচ্চু মিজি নূরুল আমিন মিজির নিকট ২ হাজার টাকা দেন। নূরুল আমিন মিজি দলিলের নকল না দেয়ায় বাচ্চু মিজির সাথে গত সোমবার সন্ধ্যায় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। শাহালম মিজির ছেলে রাকিব নূরুল আমিন মিজির গায়ে হাত উঠায়। স্থানীয় লোকজন তখন মীমাংসা করে দেন। পরের দিন সকাল ৭টার সময় নুরুল আমিন মিজি, মোহাম্মদ আমিন মিজি ও ইব্রাহিম মিজিরা তাদের ছেলে ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে নিয়ে এসে খোরশেদ মিজির উপর হামলা চালায়। এর পরপরই দুপক্ষের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলে উভয় পক্ষের ৬ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করেন। পরে তাদেরকে ঢাকায় রেফার করা হয়। খোরশেদ আলম মিজির অবস্থা জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তবে বসতঘরে আগুন লাগানোর বিষয়ে স্থানীয় লোকজন জানান, উভয় পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষের লোকই আহত হয়। এক পক্ষ কম আরেক পক্ষ বেশি। বাচ্চু মিজিরা লোকজন কম থাকায় তারা নুরুল আমিন মিজিদের হামলায় গুরুতর আহত হয় বেশি। তবে নুরুল আমিন মিজির লোকেরা বাচ্চু মিজির ঘরে আগুন দেয়নি এটাও সত্য।

শাহালম মিজির ছেলে রাকিব জানান, আমার বাবা শাহালম মিজি ও খোরশেদ চাচা সকালে নাস্তা করতে দোকানে গেলে নুরুল আমিন মিজি লোকজন নিয়ে

পরিকল্পিতভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। আমার বাবাকে ও চাচাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে নুরুল আমিন মিজি ও তার ছেলেরা এসে আমাদের বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। বাড়ির লোকজন ৯৯৯ ফোন দিয়ে সহযোগিতা চাইলে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। তখন বাড়ির লোকজন পানি দিয়ে আগুন নেভায়।</

নুরুল আমিন মিজির ছেলে জুয়েল জানান, গতকাল সন্ধ্যায় আমার বাবা চায়ের দোকানে গেলে বাবার সাথে শাহালম মিজির কথা কাটাকাটি হয়। তখন শাহালম মিজির ছেলে রাকিব আমার বাবার গায়ে হাত তোলে। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে পরদিন সকালে তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা পুনরায় উত্তেজিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে আমরা তাদের ওপর পাল্টা হামলা করি। পরে তারা আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য নিজেদের ঘরে নিজেরা আগুন লাগায়। </

হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন জানান, উত্তর আলগী গ্রামে মারামারির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ হয় নি। অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</p> </div>