ঢাকা ১২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জে ৯ ইটভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলো প্রশাসন

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৪০:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • ৬৮ Time View

ছবি-ত্রিনদী

চাঁদপুর জেলার ৪১ অবৈধ ইটভাটার মধ্যে দুই দিনে ৬ অবৈধ ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের নিদের্শনা বাস্তবায়নে রোববার (৯ মার্চ) চাঁদপুরের প্রশাসন এই কার্যক্রম শুরু করে।

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে অভিযানের অংশ হিসেবে ফরিদগঞ্জ উপজেলার মেসার্স মহসিন এন্ড ইমাম ব্রিক ফিল্ড, আয়েশা ব্রিক ফিল্ড ও খাদিজা ব্রিক ফ্লিড এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে।

এর আগে ৯ মার্চ দুপুরে একই উপজেলার মেসার্স টুগবি ব্রিক ফিল্ড, ভঙ্গেরগাঁও ব্রিক ফিল্ড এবং মানিকরাজ ব্রিক ফ্লিল্ড এ ভ্রাম্যামান আদালতের অভিযান পরিচালনা এসব ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

এ সময় এসব ব্রিক ফিল্ড বুলডুজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় এবং দমকল বাহিনী পানি দিয়ে ভাটার চলমান আগুন বন্ধ করে দেয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে থাকা চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জেষ্ঠ্য সহকারী কমিশানার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক জেলার অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসক বলেছেন। এরপরও যারা বন্ধ করছে না, তাদের ইটভাটাগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে এবং এই কাজ অব্যাহত আছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ি কাজ শুরু করেছি। ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসক ইটভাটা মালিকদের নিয়ে তাঁর কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন। ওই সময় তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন অবৈধ ও লাইসেন্স ছাড়া যেসব ভাটা রয়েছে সেগুলো বন্ধ রাখার জন্য। এইক সাথে নির্দেশনা ছিলো যেসব ইটভাটা বন্ধ করবে না, সেগুলো পর্যায়ক্রমে আমরা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অভিযান বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, যেসব ইটভাটা জনবসতি বা স্কুল কলেজের সাথে আছে সেগুলো আসলেই আমাদের পরিবেশের জন্যে ক্ষতিকর। সরকার আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশের ক্ষতিকর ইটভাটাগুলো বন্ধ করে দেয়ার জন্যে। আমরা এসব ইটভাটার মালিকদের সরকারে এই ম্যাসেজটা জানিয়েছি, কিন্তু তারা তা কর্ণপাত করেনি।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি উচ্চ আদালত আমাদের নির্দেশ দিয়েছে যে আগামী ১৭ তারিখের মধ্যে যত লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইটভাটা রয়েছে, সেগুলোকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। উচ্চ আদালতের নির্দেশক্রমে জেলায় যতগুলো অবৈধ ইটভাটা রয়েছে সবগুলোকে আমরা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিবো।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও জেলা পুলিশের একটি সক্রিয় দল আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

মতলবে জমি সংক্রান্ত বিরোধে, প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ২, থানায় অভিযোগ 

ফরিদগঞ্জে ৯ ইটভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলো প্রশাসন

Update Time : ১১:৪০:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

চাঁদপুর জেলার ৪১ অবৈধ ইটভাটার মধ্যে দুই দিনে ৬ অবৈধ ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের নিদের্শনা বাস্তবায়নে রোববার (৯ মার্চ) চাঁদপুরের প্রশাসন এই কার্যক্রম শুরু করে।

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে অভিযানের অংশ হিসেবে ফরিদগঞ্জ উপজেলার মেসার্স মহসিন এন্ড ইমাম ব্রিক ফিল্ড, আয়েশা ব্রিক ফিল্ড ও খাদিজা ব্রিক ফ্লিড এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে।

এর আগে ৯ মার্চ দুপুরে একই উপজেলার মেসার্স টুগবি ব্রিক ফিল্ড, ভঙ্গেরগাঁও ব্রিক ফিল্ড এবং মানিকরাজ ব্রিক ফ্লিল্ড এ ভ্রাম্যামান আদালতের অভিযান পরিচালনা এসব ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

এ সময় এসব ব্রিক ফিল্ড বুলডুজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় এবং দমকল বাহিনী পানি দিয়ে ভাটার চলমান আগুন বন্ধ করে দেয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে থাকা চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জেষ্ঠ্য সহকারী কমিশানার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক জেলার অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসক বলেছেন। এরপরও যারা বন্ধ করছে না, তাদের ইটভাটাগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে এবং এই কাজ অব্যাহত আছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ি কাজ শুরু করেছি। ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসক ইটভাটা মালিকদের নিয়ে তাঁর কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন। ওই সময় তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন অবৈধ ও লাইসেন্স ছাড়া যেসব ভাটা রয়েছে সেগুলো বন্ধ রাখার জন্য। এইক সাথে নির্দেশনা ছিলো যেসব ইটভাটা বন্ধ করবে না, সেগুলো পর্যায়ক্রমে আমরা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অভিযান বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, যেসব ইটভাটা জনবসতি বা স্কুল কলেজের সাথে আছে সেগুলো আসলেই আমাদের পরিবেশের জন্যে ক্ষতিকর। সরকার আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশের ক্ষতিকর ইটভাটাগুলো বন্ধ করে দেয়ার জন্যে। আমরা এসব ইটভাটার মালিকদের সরকারে এই ম্যাসেজটা জানিয়েছি, কিন্তু তারা তা কর্ণপাত করেনি।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি উচ্চ আদালত আমাদের নির্দেশ দিয়েছে যে আগামী ১৭ তারিখের মধ্যে যত লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইটভাটা রয়েছে, সেগুলোকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। উচ্চ আদালতের নির্দেশক্রমে জেলায় যতগুলো অবৈধ ইটভাটা রয়েছে সবগুলোকে আমরা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিবো।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও জেলা পুলিশের একটি সক্রিয় দল আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।