ঢাকা ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃটিশনাগরিককে অব্যাহতি দিয়ে মেহের ডিগ্রি কলেজের গভর্ণিংবডির নতুন সভাপতি ইউসুফ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • ৯১ Time View

মেহের ডিগ্রি কলেজের গভর্ণিংবডির নতুন সভাপতি ইউসুফ

মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান:

শাহরাস্তি উপজেলার মেহের ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির এবার নতুন সভাপতি ও বিদ্যোসাহীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় । কিছুদিন পূর্বে সভাপতি পদে নিয়োগ পাওয়া আনোয়ার হোসেন খোকনের স্থলে ৩০ এপ্রিল নতুন করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে মোহাম্মদ আবু ইউসুফকে সভাপতি ও এডঃ শাহেদুল হক মজুমদারকে বিদ্যোসাহী হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে পত্র প্রেরণ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে এ বিষয়ে ২৭শে এপ্রিল ও ৪ মে দেশের বিভিন্ন জাতীয় স্থানীয় পত্রিকায় ‘ বৃটিশ নাগরিককে সভাপতির পদ থেকে প্রত্যাহার ও প্রথম সভা বয়কট’-শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এ এস এম আমানুল্লাহ’র অনুমতিক্রমে কলেজ পরিদর্শক আবদুল হাই সিদ্দিক সরকারের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গভনিং বডির অবশিষ্ট মেয়াদকাল ২৪ মার্চ ২০২৭ সাল পর্যন্ত।

এর আগে গেল ২৯ এপ্রিল আনোয়ার হোসেন খোকনের নেতৃত্বে প্রথম সভা বয়কট করেছে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কলেজ মিলনায়তনে আনোয়ার হোসেন খোকন অপেক্ষা করেন। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ ওশিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়া পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্যরা উপস্থিত হয়নি।

প্রথম সভার আগে সম্প্রতি বৃটিশ নাগরিককে আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কাছে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন কলেজটির গভর্নিং বডির ৮ সদস্য।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কাছে কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যের দেয়া চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করেছেন, যা অধ্যক্ষের মাধ্যমে জানাতে পারি। আমাদের জানা মতে, তিনি একজন বৃটিশ নাগরিক এবং বর্তমানেও তিনি দেশ ও লন্ডন মিলিয়ে অবস্থান করছেন। গত ২০ বছরে তিনি বাংলাদেশে মাত্র হাতেগোনা কয়েকবার এসেছেন। তাও আবার বৃটিশ পাসপোর্টে।

এরকম একজন ব্যক্তিকে সভাপতি মনোনীত করায় আমরা চরমভাবে হতাশ এবং কলেজ পরিচালনা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির নীতিমালা ৯নং অনুসারে অধিভুক্ত কলেজে গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিক হবেন এবং তাহারা সাধারণভাবে বাংলাদেশের বাসিন্দা হবেন। ওই হিসেবে এ নিয়োগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নীতি বহির্ভূত ও সাংঘর্ষিক।এদিকে বহু জল্পনা-কল্পনার পর নতুন সভাপতি নিয়োগ দেওয়ার ফলে বিবাদমান সমস্যাটা সমাধান হল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফরিদগঞ্জে আদালতকে আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞাকৃত সম্পত্তিতে ভবণ নির্মাণ

বৃটিশনাগরিককে অব্যাহতি দিয়ে মেহের ডিগ্রি কলেজের গভর্ণিংবডির নতুন সভাপতি ইউসুফ

Update Time : ০১:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান:

শাহরাস্তি উপজেলার মেহের ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির এবার নতুন সভাপতি ও বিদ্যোসাহীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় । কিছুদিন পূর্বে সভাপতি পদে নিয়োগ পাওয়া আনোয়ার হোসেন খোকনের স্থলে ৩০ এপ্রিল নতুন করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে মোহাম্মদ আবু ইউসুফকে সভাপতি ও এডঃ শাহেদুল হক মজুমদারকে বিদ্যোসাহী হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে পত্র প্রেরণ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে এ বিষয়ে ২৭শে এপ্রিল ও ৪ মে দেশের বিভিন্ন জাতীয় স্থানীয় পত্রিকায় ‘ বৃটিশ নাগরিককে সভাপতির পদ থেকে প্রত্যাহার ও প্রথম সভা বয়কট’-শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এ এস এম আমানুল্লাহ’র অনুমতিক্রমে কলেজ পরিদর্শক আবদুল হাই সিদ্দিক সরকারের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গভনিং বডির অবশিষ্ট মেয়াদকাল ২৪ মার্চ ২০২৭ সাল পর্যন্ত।

এর আগে গেল ২৯ এপ্রিল আনোয়ার হোসেন খোকনের নেতৃত্বে প্রথম সভা বয়কট করেছে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কলেজ মিলনায়তনে আনোয়ার হোসেন খোকন অপেক্ষা করেন। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ ওশিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়া পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্যরা উপস্থিত হয়নি।

প্রথম সভার আগে সম্প্রতি বৃটিশ নাগরিককে আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কাছে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন কলেজটির গভর্নিং বডির ৮ সদস্য।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কাছে কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যের দেয়া চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে আনোয়ার হোসেন খোকনকে মনোনীত করেছেন, যা অধ্যক্ষের মাধ্যমে জানাতে পারি। আমাদের জানা মতে, তিনি একজন বৃটিশ নাগরিক এবং বর্তমানেও তিনি দেশ ও লন্ডন মিলিয়ে অবস্থান করছেন। গত ২০ বছরে তিনি বাংলাদেশে মাত্র হাতেগোনা কয়েকবার এসেছেন। তাও আবার বৃটিশ পাসপোর্টে।

এরকম একজন ব্যক্তিকে সভাপতি মনোনীত করায় আমরা চরমভাবে হতাশ এবং কলেজ পরিচালনা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির নীতিমালা ৯নং অনুসারে অধিভুক্ত কলেজে গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিক হবেন এবং তাহারা সাধারণভাবে বাংলাদেশের বাসিন্দা হবেন। ওই হিসেবে এ নিয়োগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নীতি বহির্ভূত ও সাংঘর্ষিক।এদিকে বহু জল্পনা-কল্পনার পর নতুন সভাপতি নিয়োগ দেওয়ার ফলে বিবাদমান সমস্যাটা সমাধান হল।