ঢাকা 1:45 am, Wednesday, 2 July 2025

মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরোদ্ধে টেকসই উন্নয়ন, শতভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন

আনোয়ার হোসেন

টেকসই উন্নয়ন, শতভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের আওতাধীন গ্রামীণ অবকাঠামো টিআর কাবিখাসহ অন্যান্য প্রকল্পের। সাংবাদিক কে তথ্য না দেয়ার বাহানায় শুনান নিজ গুনের গল্প এবং গল্পের ছলে দাম্ভিকতার সাথে অবলীলাই বলেন রেখে আসা কর্মস্থলের নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতির কথা। তিনি আর কেউ নয় মতলব দক্ষিণ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আনোয়ার হোসেন।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ২০২৪/২৫ অর্থবছরে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের বিভিন্ন কর্মসুচীর শেষ পর্যায়ের বিল প্রস্তুত হতে যাচ্ছে। কিন্তু মতলব দক্ষিণ উপজেলার পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো টিআর কাবিখাসহ অন্যান্য প্রকল্প নিয়ে অন্তহীন অনিয়ম দূর্নীতির চিহ্ন রয়েছে। তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ শেষে শতভাগ কাজ ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও তার প্রতিকার না করে বিল দেয়ার জন্য আগাচ্ছেন মতলব দক্ষিণ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আনোয়ার।

সরেজমিনে দেখা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার খর্গপুর হতে দিঘির পার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার কাচা রাস্তার কাজ চলছে। রাস্তাটি এমনিতে নিচু, প্রয়োজন উচু করা কিন্তু করছে তার উল্টো। ভেকু মেশিন দিয়ে রাস্তার উচ্চতা কমিয়ে বাড়ানো হচ্ছে প্রস্থতা। এছাড়া লাক শিবপুর মাদরাসা হতে পাটন রাস্তাটি হেয়ারিং বন্ডের হলেও নায়েরগাও দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজ বেআইনি ক্ষমতা বলে সরকারের বরাদ্দ না থাকা সত্বেও ভেকু দিয়ে রাস্তার দুপাশ হতে মাটি কেটে রাস্তার ইটগুলে মাটির নিচে ফেলে দেয়। এতে কর্ধমাক্ত রাস্তায় চলতে হচ্ছে জনসাধারণের। আরোও দেখা যায, দুপাশ হতে মাটি তুলায় পূর্বে তৈরি হওয়া গাইড ওয়াল হেলে পরে যাচ্ছে।

সূত্রে আরোও জানাযায়, উপজেলায় বেশকয়েকটি ব্রীজ নির্মানে ত্রুটি থাকার কথা। ঠিকাদার কাজ সম্পন্ন করে গোড়ায় মাটি দিতে গেলে কোথাও ভ্যাজ পরে গেছে কোথাও ফাটল ধরেছে। এ অবস্থায়ও তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিকারের ব্যাবস্থা না নিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে বিল দিয়ে দিয়েছে। এখনো তাই হতে দেখা যাচ্ছে। এই রকম একাদিক আনিয়ম দূর্নীতির তথ্য রয়েছে অফিসার আনোয়ারের বিরুদ্ধে।

এদিকে সাংবাদিক কে তথ্য না দেয়ার ছলে নিজ গুনের নানা অতিকথনের ফাকে নিজ পূর্ব কর্মস্থলে করে আসা নানা অনিয়ম দূর্নীতির কথা দাম্ভিককতার সাথে অবলীলায় বলে যায় আনোয়ার হোসেন।জনগনের টেক্সের টাকায় সরকারে টেকসই উন্নয়নের বিপরীতে রয়েছে আনোয়ার হোসেন তা সহজেই বুঝতে পারা যায়। তাই আনোয়ার হোসেনের বর্তমান অনিয়ম দূর্নীতিসহ পূর্ব কর্মস্থলের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষসহ দুদকের অনুসন্ধান জরুরি বলে জানায় টেক্স দেয়া ভুক্তভোগী সাধারণ জনগন। এছাড়াও একাধিক জনপ্রতিনিধিদের আনোয়ার হোসেনর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।

খর্গপুর দিঘির পার রাস্তার কাজটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন এবং হেয়ারিং বন্ডের রাস্তাটিতে চেয়ারম্যানের বেআইনি হস্তক্ষেপে সরকারের রাজস্ব ক্ষতির বিষয় কি ব্যাবস্থা নিয়েছে জানতে চাইলে তিনি নানা অযুহাত দেখাতে থাকেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

পিআর পদ্ধতির উপযোগিতা ভেবে দেখার অনুরোধ তারেক রহমানের

মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরোদ্ধে টেকসই উন্নয়ন, শতভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন

Update Time : 10:02:50 pm, Tuesday, 1 July 2025

টেকসই উন্নয়ন, শতভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের আওতাধীন গ্রামীণ অবকাঠামো টিআর কাবিখাসহ অন্যান্য প্রকল্পের। সাংবাদিক কে তথ্য না দেয়ার বাহানায় শুনান নিজ গুনের গল্প এবং গল্পের ছলে দাম্ভিকতার সাথে অবলীলাই বলেন রেখে আসা কর্মস্থলের নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতির কথা। তিনি আর কেউ নয় মতলব দক্ষিণ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আনোয়ার হোসেন।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ২০২৪/২৫ অর্থবছরে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের বিভিন্ন কর্মসুচীর শেষ পর্যায়ের বিল প্রস্তুত হতে যাচ্ছে। কিন্তু মতলব দক্ষিণ উপজেলার পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো টিআর কাবিখাসহ অন্যান্য প্রকল্প নিয়ে অন্তহীন অনিয়ম দূর্নীতির চিহ্ন রয়েছে। তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ শেষে শতভাগ কাজ ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও তার প্রতিকার না করে বিল দেয়ার জন্য আগাচ্ছেন মতলব দক্ষিণ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আনোয়ার।

সরেজমিনে দেখা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার খর্গপুর হতে দিঘির পার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার কাচা রাস্তার কাজ চলছে। রাস্তাটি এমনিতে নিচু, প্রয়োজন উচু করা কিন্তু করছে তার উল্টো। ভেকু মেশিন দিয়ে রাস্তার উচ্চতা কমিয়ে বাড়ানো হচ্ছে প্রস্থতা। এছাড়া লাক শিবপুর মাদরাসা হতে পাটন রাস্তাটি হেয়ারিং বন্ডের হলেও নায়েরগাও দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজ বেআইনি ক্ষমতা বলে সরকারের বরাদ্দ না থাকা সত্বেও ভেকু দিয়ে রাস্তার দুপাশ হতে মাটি কেটে রাস্তার ইটগুলে মাটির নিচে ফেলে দেয়। এতে কর্ধমাক্ত রাস্তায় চলতে হচ্ছে জনসাধারণের। আরোও দেখা যায, দুপাশ হতে মাটি তুলায় পূর্বে তৈরি হওয়া গাইড ওয়াল হেলে পরে যাচ্ছে।

সূত্রে আরোও জানাযায়, উপজেলায় বেশকয়েকটি ব্রীজ নির্মানে ত্রুটি থাকার কথা। ঠিকাদার কাজ সম্পন্ন করে গোড়ায় মাটি দিতে গেলে কোথাও ভ্যাজ পরে গেছে কোথাও ফাটল ধরেছে। এ অবস্থায়ও তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিকারের ব্যাবস্থা না নিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে বিল দিয়ে দিয়েছে। এখনো তাই হতে দেখা যাচ্ছে। এই রকম একাদিক আনিয়ম দূর্নীতির তথ্য রয়েছে অফিসার আনোয়ারের বিরুদ্ধে।

এদিকে সাংবাদিক কে তথ্য না দেয়ার ছলে নিজ গুনের নানা অতিকথনের ফাকে নিজ পূর্ব কর্মস্থলে করে আসা নানা অনিয়ম দূর্নীতির কথা দাম্ভিককতার সাথে অবলীলায় বলে যায় আনোয়ার হোসেন।জনগনের টেক্সের টাকায় সরকারে টেকসই উন্নয়নের বিপরীতে রয়েছে আনোয়ার হোসেন তা সহজেই বুঝতে পারা যায়। তাই আনোয়ার হোসেনের বর্তমান অনিয়ম দূর্নীতিসহ পূর্ব কর্মস্থলের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষসহ দুদকের অনুসন্ধান জরুরি বলে জানায় টেক্স দেয়া ভুক্তভোগী সাধারণ জনগন। এছাড়াও একাধিক জনপ্রতিনিধিদের আনোয়ার হোসেনর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।

খর্গপুর দিঘির পার রাস্তার কাজটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন এবং হেয়ারিং বন্ডের রাস্তাটিতে চেয়ারম্যানের বেআইনি হস্তক্ষেপে সরকারের রাজস্ব ক্ষতির বিষয় কি ব্যাবস্থা নিয়েছে জানতে চাইলে তিনি নানা অযুহাত দেখাতে থাকেন।