চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক গ্রাম পুলিশের বসতঘর থেকে ২০ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার ও অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (১৮ জুন) সকালে উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের সদস্য স্বপন সাহার বসতঘর থেকে ২০ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আনা হয়। একই সময়ে তাকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে স্বপন সাহা স্থানীয় লোকজনের কাছ সরকারি চাল বিক্রি করছেন। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার লোকজন আজ (বুধবার) সকালে তার বসতঘরে গিয়ে সরকারি চালের বস্তা দেখতে পায়। পরে উপজেলা প্রশাসন ও সংবাদকর্মীদের জানায়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেনসহ সংবাদকর্মীরা ওই বাড়িতে গিয়ে স্বপন সাহার বসতঘরের ভিতরে ৫০ কেজি ওজনের ৯ বস্তা, ৩০ কেজি ওজনের ৫ বস্তা ও চাউলের ১২টি খালি বস্তা দেখতে পান। এসময় ৬ বস্তা চাল বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন স্বপন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বপন সাহা বলেন, ভিজিএফের চালগুলো আমি মানুষের কাছ থেকে কিনে রেখেছি। এখন আবার বিক্রি করে দিচ্ছি।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মুজিব জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপলক্ষে ২ হাজার ১২৮ টি ভিজিএফের কার্ড আসে। ১৬৮ কার্ডে ১৫০ কেজি করে দেওয়ার কথা রয়েছে। যা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, রশিদ মেম্বার ও গ্রাম পুলিশ স্বপন সাহা বিতরণ করেন।
তিনি বলেন, স্বপনের সাথে কথা হলে সে জানায়, আতপ চালের কারণে অনেকে খেতে চায়না। তাই বিক্রি করে দিছে। আর বিক্রিকৃত চালগুলো সে কিনেছে। এখন ইউএনও স্যারের নির্দেশে চালগুলো জব্দ করা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে, যে জড়িত থাকুত, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হোক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইবনে আল জায়েদ হোসেন জানান, চাল জব্দসহ অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশের সদস্য স্বপন সাহাকে আটক করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযোগ ছিলো ওই গ্রামে কেউ কেউ চাউল পায়নি। এ ছাড়াও গ্রাম পুলিশ স্বপন চাউল কাদের কাছ থেকে ক্রয় করেছে, তাদের নাম বলতে পারেনি। তাবে যাদের কাছে বিক্রয় করছে তাদের নাম সে বলেছে। এ ছাড়াও সরকারি বস্তায় করে চাল বিক্রয় করছিলো সে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক জানান, গ্রাম পুলিশ স্বপন থানা হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।