চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মাদক কারবারিদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত যুবক মো. মোস্তফা (২৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা এই তথ্য জানান।
নিহত মোস্তফা উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শাশিয়ালী গ্রামের মৃত দিদার হোসেনের ছেলে এবং পেশায় ছিলেন অটোরিকশা চালক। তিনি এক সন্তানের জনক।
নিহতের স্বজনরা জানান, মাদক কারবাদিরে হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় মোস্তফাকে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। বুধবার (১৮ জুন) দিনগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ১২ জুন রাতে স্থানীয় মাদক কারবারি সোহেল গংরা মোস্তফাকে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর এবং পিঠে ছুরিকাঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত সোহেল ও নিহত মোস্তফা একই গ্রামের বাসিন্দা। সোহেলের ভাই ফয়সাল এক দোকানির কাছ থেকে পেট্রোল আনার কথা বলে ৪ হাজার ৬০০ টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ করেন। দোকানদার জাহাঙ্গীর মোস্তফার আত্মীয় হওয়ায় তিনি বিষয়টি নিয়ে সোহেল গংদের সঙ্গে কথা বলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোস্তফাকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হামলা চালানো হয়।
নিহতের ভাই মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমার ভাইকে রাত ১০টার দিকে ঘর থেকে ডেকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়। খবর পেয়ে আহত অবস্থায় উদ্ধার তাকে করি। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। ভাই হত্যার বিচার দাবী করেন তিনি।
স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি জানান, সোহেল গংরা এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি। একাধিকবার তারা মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, মোস্তফা তাদের মাদক কারবারে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ আলম বলেন, নিহতের ভাই আলাউদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে ৪জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়। ইতোমধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে দুজন জামিন পেয়েছেন। আহত যুবকের মৃত্যুতে মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে।