ভারতের বিহারে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ও অস্বাভাবিক ঘটনা। স্ত্রী ও ভাতিজার মধ্যে অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে এক যুবক নিজেই স্ত্রীকে জোর করে ভাতিজার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তার আগে গ্রামবাসীদের ডেকে ভাতিজাকে বেধড়ক মারধরও করেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সুপল জেলার জীবচ্ছাপুর এলাকায়। জানা গেছে, ২ জুলাই ২৪ বছরের মিথিলেশ কুমার মুখিয়ার সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় রিতা দেবী নামের এক নারীকে। এই বিয়ের উদ্যোক্তা আর কেউ নন, রিতার স্বামী ও মিথিলেশের কাকা শিবচন্দ্র মুখিয়া। তাঁর নেতৃত্বেই গ্রামবাসীরা মিথিলেশকে মারধর করেন এবং পরবর্তীতে কাকিমা রিতার সঙ্গে জোরপূর্বক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করেন।
बिहार क़े सुपौल जिले में एक युवक को अवैध संबंध क़े आरोप मे पहले डंडों से पिटाई की गई और फिर उसे चाची के साथ जबरन शादी करने पर मजबूर किया गया।
कभी फूफा, कभी चाची, कभी देवआर कभी जेठ, संस्कारी लोगों के हाल देखिए…pic.twitter.com/lnlKjnWHoC— Karishma Aziz (@KarishmaAziz_) July 8, 2025
ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে মিথিলেশকে মারধর ও সিঁদুর পরানোর দৃশ্য দেখা যায়। শিবচন্দ্রের একমাত্র যুক্তি ছিল, স্ত্রীর সঙ্গে ভাতিজার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, তাই এই ব্যবস্থা।
মিথিলেশের বাবা রামচন্দ্র মুখিয়া ভীমপুর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার ছেলেকে অপহরণ করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে এবং তিনিসহ তাঁর স্ত্রীকেও মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে মিথিলেশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই ঘটনায় শিবচন্দ্রসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন