
মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ফাতেমা আক্তারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ডায়গনিষ্টিক সেন্টারে রোগী দেখছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। ফলে ওই সময়ে জরুরী বিভাগে আগত রোগীরা ডাক্তারের ( তাঁর) জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে ।
গত ২৩ জুলাই বুধবার বেলা ১টার সময় এমনটাই দেখা যায় জরুরী বিভাগে। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নন্দ ঘোষ রোগীদের সামনে রেখে ডাঃ ফাতেমা আক্তারকে ফোন দিলে তিনি বলেন আমি দোতলায় আছি। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ডাঃ ফাতেমা আক্তার পাশের গ্রীন লাইফ ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেসন সেন্টারে রোগী দেখছেন।

এ বিষয়ে ওই সেন্টারের সামনে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “জরুরী বিভাগে আমার ডিউটি চলছে । আমাকে ফোন দিলে আমি গিয়ে রোগী দেখি । এইটা আমি করতেই পারি ।” ডাঃ ফাতেমা আত্তার সরকারি ডাঃ হলেও উনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউট ডোরে কোন রোগী দেখেন না, উনি সারাদিন ব্যাস্ত থাকেন প্রাইভেট হাসপাতাল অথবা প্রাইভেট ডায়াগনস্টিকে রোগী দেখতে।
এছাড়াও এই হাসপাতালের অধিকাংশ ডাক্তার এভাবেই বহিঃবিভাগে ডিউটি চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন ডায়গনিষ্টিক সেন্টারে রোগী দেখতে দেখা যায় ।
হাসপাতালে আসা একাধিক রোগিরা বলেন,আমাদেরকে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয় ডাক্তারদের জন্য । রোগী এসে বসে থাকলেও ডাক্তারদের দেখা পাওয়া যায়না । যদিও ডাক্তারের সাথে দেখা হয় বেশ কয়েকটি পরীক্ষা দিয়ে নিজিস্ব প্যাথলজিতে যেতে বলে তারা ।

গত ২২ জুলাই মঙলবার এমই একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়। ডাক্তারের চেয়ারে এক মহিলা রোগী বসে ঘুমাচ্ছে । যা নিয়ে মতলবে আলোচনা -সমালচনা ঝড় বইছে । সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্ব্যাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রায়হান বলেন, ডিউটি চলাকালীন সময়ে তিনি (ডাঃ ফাতেমা আক্তার) বাহিরে প্রাইভেট রোগী দেখতে পারেন না । বিষয়টি আমি দেখছি ।