কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা চালু করার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকদের উদ্ধতপূর্ণ আচরণ ও অন্যায় আবদারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কচুয়া উপজেলা শাখার আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরীর হাতে স্বারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধন সমাবেশে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ মোতাহের হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল আলম, নির্বাহী সম্পাদক কামাল হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন,মহিলা সম্পাদিকা ফরিদা ইয়াসমিন, প্রধান শিক্ষক মহাসিন হোসেন, ইসমাইল হোসেন,সহকারী শিক্ষক রেসমা আক্তারসহ আরো অনেকে।
স্বারকরিপিতে উল্লেখ করেন,আমরা বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ, আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে,বাংলাদেশের সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবেই অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে এ বৃত্তি চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য অন্তবর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনমূলে “সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা” এর গেজেটে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতিত শুধুমাত্র সরাকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এ বৃত্তি পরীক্ষা পূনরায় চালু করার যৌক্তিক সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।
বাংলাদেশের শিক্ষা জরিপ ও পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ স্বচ্ছল পরিবারের পক্ষান্তরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ নিম্নবিত্ত পরিবারের। তাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে এ বৃত্তি পরীক্ষায় কেবলমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনের সিদ্ধান্তই অত্যন্ত যৌক্তিক বলে আমরা মনে করি। তাছাড়া কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আলাদা বৃত্তি ব্যবস্থা চালু রয়েছে। তথাপিও এ বিষয়ে কিন্ডার গার্টেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দের অযৌক্তিক দাবী উপস্থাপন ও অসৌজন্যমূলক বক্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।
আমরা মনেকরি, শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ রাখলে গ্রামের নিম্নবিত্ত পরিবাবের সকল শিশু শিক্ষার মূলস্রোতে নিজেদের আরও ভালোভাবে যুক্ত করতে পারবে এবং এ সিদ্ধান্ত প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই ইতোমধ্যে প্রকাশিত বৃত্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত নিয়ম বহাল রাখার জন্য জোর দাবি জানাই।