চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়নের প্রেম করে গোপনে বিয়ে করেন আকলিমাকে (২২) একই বাড়ির হাসনাত (২১)। সম্পর্কে তারা উভয়ে মামাতো-ফুফাতো ভাই বোন। কিন্তু কোনও কাবিননামা হয়নি। বিয়েটিকে কেন্দ্র করে শুরু হয় উভয় পরিবারে দ্বন্দ্ব। এর মধ্যেই তাদের ঘরে জন্ম নেয় এক সন্তান। উভয় পরিবারের বিরোধ শেষ পর্যন্ত আদালতে মামলায় গড়ায়। আদালতের নির্দেশে হাসনাতকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত কারাগারে আছেন।
এদিকে উভয় পরিবারের মাঝে দ্বন্দ্বের মীমাংসা হয়। এর ফলে আদালতের নির্দেশে রবিবার (১২ অক্টোবর) চাঁদপুর জেলা কারাগারে হাসনাত ও আকলিমার আনুষ্ঠানিক বিয়ে এবং কাবিননামা সম্পন্ন হয়।
উপস্থিত বর এবং কনেপক্ষের স্বজনদেরকে কারা কর্তৃপক্ষের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় বলে জানান ওই কারাগারের জেলার জুবাইর।
চাঁদপুর জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার দ্বাদশ গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে হাসনাত এবং একই বাড়ির মাসুদের মেয়ে বাক প্রতিবন্ধী আকলিমা। উভয় পরিবারের দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে আকলিমার বাবা ২০২৪ সালের ২৪ জুন চাঁদপুর আদালতে মামলা করেন।
আটকের দুই দিন পর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২৬ জুন আদালত হাসনাতকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। সেই থেকে এখনও কারাগারে আটক আছেন।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকের আদেশে রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর জেলা কারাগারে উভয়ের বিয়ে ও কাবিননামা সম্পন্ন হয়। ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে এ বিয়ে হয়। এর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা উসুল ধরা হয়। বিয়ে ও কাবিননামায় স্বাক্ষরকালে বর এবং কনেকে বেশ উৎফুল্ল দেখা যায় বলে উপস্থিত স্বজনরা জানান।
এদিন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের একজন প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার ও জেলা সমাজসেবা বিভাগের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ সময় বর ও কনে পক্ষের বাবা, আত্মীয়রা ও উভয়পক্ষের গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিয়ের পর বর হাসনাতের দ্রুত জামিন ও মামলাটি নিষ্পত্তিতে এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন উভয় পরিবারের স্বজনরা।