ঢাকা 9:39 am, Tuesday, 4 November 2025

চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে মমিনুল হকই আস্থা বিএনপির হাইকমান্ডের

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে দেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশের ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এই তালিকায় শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর-৫) উপজেলা থেকে লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলার বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক এবং বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জি. মমিনুল হক ছাত্র থাকাকালীণ সময় থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রীয় রয়েছে। ২০০১ সালে দলীয় মনোননয়ন চেয়েও পাননি। মনোনয়ন দেয়া হয় প্রবীণ বিএনপি নেতা এম এ মতিনকে।  ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে বিএনপি যখন নেতৃত্বহীণ ছিলেন সেই দুঃসময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ায় খালেদা জিয়া তাকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক দেন। সেবার তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন (আওয়ামীলীগ) প্রাথী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের সাথে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

পরবর্তীতে ১০ম, ১১তম সংসদ নির্বাচনেও লায়ন ইঞ্জি. মমিনুল হকেরই উপর আস্থা ছিলো বিএনপির। তবে একক দলীয় নিষিদ্ধ সংগঠনের পুলিশ বাহিনীর নির্বাচনীয় দূরভিসন্ধির কারণে তিনি পরাজিত হন।

১২তম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় তিনিও নির্বাচন থেকে বিরত থাকেন।

নেতা-কর্মীরা বলছেন, মমিনুল হক তার নির্বাচনী এলাকায় দলীয় অসংখ্যা নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হওয়া রাজনৈতিক মামলায় অর্থ ও আইনি সহায়তা দিয়ে পাশে ছিলেন। দলের ক্রান্তিকালে রাজনীতি ও মাঠপর্যায় নেতা-কর্মীদের আঁকড়ে ধরে রাখার পুরস্কার হিসেবে দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তারা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

গত ২ নভেম্বর রোববার উপজেলা যুবদলের আয়োজনে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে যুব সমাবেশে মমিনুল হক বক্তব্যে দিতে গিয়ে বলেছিলেন, আল্লাহ বিএনপিতে আগামী সরকারের জন্য কবুল করেছেন। বিএনপির কাছে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হবে জামায়াতের প্রার্থী।

মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার খবরে লায়ন ইঞ্জি. মমিনুল হক নেতা-কর্মীদের আনন্দ মিছিল থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।

এর পূর্বে তিনি মুঠো ফোনে বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে অবৈধ ভূমি দখল, সাধারণ জনগণের উপর অত্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন মেনে নেয়া হবেনা। সেই যেই হউক তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, আল্লাহ যদি আমাকে এ আসনের জন্য বিজয় কবুল করেন সততার সাথে মানুষের জন্য করবো। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

মতলবে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু

চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে মমিনুল হকই আস্থা বিএনপির হাইকমান্ডের

Update Time : 08:28:13 am, Tuesday, 4 November 2025

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে দেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশের ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এই তালিকায় শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর-৫) উপজেলা থেকে লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলার বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক এবং বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জি. মমিনুল হক ছাত্র থাকাকালীণ সময় থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রীয় রয়েছে। ২০০১ সালে দলীয় মনোননয়ন চেয়েও পাননি। মনোনয়ন দেয়া হয় প্রবীণ বিএনপি নেতা এম এ মতিনকে।  ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে বিএনপি যখন নেতৃত্বহীণ ছিলেন সেই দুঃসময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ায় খালেদা জিয়া তাকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক দেন। সেবার তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন (আওয়ামীলীগ) প্রাথী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের সাথে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

পরবর্তীতে ১০ম, ১১তম সংসদ নির্বাচনেও লায়ন ইঞ্জি. মমিনুল হকেরই উপর আস্থা ছিলো বিএনপির। তবে একক দলীয় নিষিদ্ধ সংগঠনের পুলিশ বাহিনীর নির্বাচনীয় দূরভিসন্ধির কারণে তিনি পরাজিত হন।

১২তম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় তিনিও নির্বাচন থেকে বিরত থাকেন।

নেতা-কর্মীরা বলছেন, মমিনুল হক তার নির্বাচনী এলাকায় দলীয় অসংখ্যা নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হওয়া রাজনৈতিক মামলায় অর্থ ও আইনি সহায়তা দিয়ে পাশে ছিলেন। দলের ক্রান্তিকালে রাজনীতি ও মাঠপর্যায় নেতা-কর্মীদের আঁকড়ে ধরে রাখার পুরস্কার হিসেবে দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তারা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

গত ২ নভেম্বর রোববার উপজেলা যুবদলের আয়োজনে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে যুব সমাবেশে মমিনুল হক বক্তব্যে দিতে গিয়ে বলেছিলেন, আল্লাহ বিএনপিতে আগামী সরকারের জন্য কবুল করেছেন। বিএনপির কাছে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হবে জামায়াতের প্রার্থী।

মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার খবরে লায়ন ইঞ্জি. মমিনুল হক নেতা-কর্মীদের আনন্দ মিছিল থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।

এর পূর্বে তিনি মুঠো ফোনে বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে অবৈধ ভূমি দখল, সাধারণ জনগণের উপর অত্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন মেনে নেয়া হবেনা। সেই যেই হউক তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, আল্লাহ যদি আমাকে এ আসনের জন্য বিজয় কবুল করেন সততার সাথে মানুষের জন্য করবো। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করবো।