ফরিদগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের দলীয় কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন না চাঁদপুর-৪ আসনে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী মো. হারুনুর রশীদ। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দল বিচ্ছিন্ন প্রার্থীর হাতে ধানের শীষ উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক এম এ হান্নানকে মনোনয়ন দেওয়া দাবী তুলেছেন তারা।
৭ নভেম্বর শুক্রবার ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে। ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে র্যালি শুরু হয়ে বাজার ঘুরে আবার বাসস্ট্যান্ডে এসে র্যালিটি শেষ হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক এম এ হান্নানের সভাপতিত্বে উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদল, মহিলাদলসহ অন্যান্য অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী কর্মসূচীতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “প্রাথমিকভাবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরও তিনি দলের কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেননি। এটা প্রমাণ করে তিনি দল বিচ্ছিন্ন এবং দলীয় নেতাকর্মীর প্রতি তাঁর আস্থার সংকট রয়েছে। তার পরিবর্তে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক এম এ হান্নানকে মনোনয়ন প্রদানের জোর দাবী জানাচ্ছি।”
ফরিদগঞ্জ পৌরসভা বিএনপি’র আহবায়ক আমানত গাজী বলেন, “তিনি বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের আজীবন সদস্য। তাই তিনি বিএনপি’র নীতি-আদর্শের প্রতি অনুগত নন। অতীতে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি আম মার্কায়ও নির্বাচন করেছেন। আমরা দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কারো হাতে ধানের শীষ চাই না। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দলীয় নেতৃত্বের হাতেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান দলের প্রতীক তুলে দেবেন।”
উপজেলা যুবদলের আহবায়ক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, “আজকের এ জনসমুদ্রকে যিনি আপন করে নিতে পারেননি। তিনিও বিএনপি’র আপন হতে পারেননা। বিএনপির আপামর কর্মী সমর্থকরা এম এ হান্নানকেই তাদের আশা আকাঙ্খার প্রতীক মনে করে। আমরা তার মনোনয়ন চাই।”
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মো. আক্তার হোসেন বলেন, “উপজেলা কিংবা ইউনিয়ন পর্যায়ের কোন নেতাকর্মীই হারুন সাহেবের সাথে নেই। নেতাকর্মী বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তিনি দলের এত বৃহৎ কর্মসূচীতে সম্পৃক্ত হননি বলে আমি মনে করি। জনবিচ্ছিন্ন কারো হাতে নয় বরং জননেতা এম এ হান্নানের হাতেই চূড়ান্তভাবে ধানের শীষ তুলে দেওয়া হবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।”
উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ চৌধুরী শাওন বলেন, “আজকে তিনি প্রথম সারিতে থাকা উচিৎ ছিলো। কিন্তু তিনি দলীয় নেতাকর্মী থেকে বিচ্ছিন্ন বলেই তিনি নেতৃত্ব দূরে থাক বরং কর্মসূচীতেই উপস্থিত হননি। আগামী নির্বাচনে কঠোর লড়াহ হবে। জনবিচ্ছিন্নদের হাতে ধানের শীষ থাকলে ভরাডুবি হতে পারে। আমরা ছাত্রদলের কর্মীরা এটা হতে দিতে পারিনা। আমরা হান্নান সাহেবের মনোনয়ন চাই। আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানকে এই আসনটি উপহার দিতে চাই।”
এ বিষয়ে জানতে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মো. হারুনুর রশীদের মুঠোফোন কল দেওয়া হলে তাঁর ব্যবহৃত দুটো নাম্বারই বন্ধ পাওয়া গেছে।
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি: 





















