জীবিকার টানে পাড়ি জমিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে। দীর্ঘ একযুগ প্রবাসের মাটিতে অর্ধহারে-অনাহারে থেকে রক্তঝরানো কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে নিজ গ্রামে স্বপ্নের ঠিকানার জন্য জমি ক্রয় করেছেন হুমায়ুন কবির আজগর নামে এক প্রবাসী। কিন্তু মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য বাড়ি নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়ে এখন পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ওই প্রবাসী। দিনের পর দিন রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে বাড়ি নিমার্ণের লাখ লাখ টাকার সামগ্রী। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার কেরোয়া গ্রামে।
সরজমিনে গিয়ে ও কাগজপত্র ঘেটে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. আব্দুর রহমানের কাছ থেকে গত ২০২৪ সালের ৭মার্চ ২২.৬২ শতাংশ জমি ক্রয় করে খারিজ খতিয়ানও (খতিয়ান নং ১৫৫৬) সম্পাদন করেন প্রবাসী হুমায়ুন কবির আজগর ।
কিন্তু সম্প্রতি ওই সম্পত্তি একই গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে এনামুল হক নিজেদের ওয়ারিশি দাবি করে একের পর এক থানায় অভিযোগ ও আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সমাঝোতা বৈঠকের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসা করা হয়েছে। এ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
ভুক্তভোগী প্রবাসী হুমায়ুন কবির আজগর বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে এনামুল হকের চাচাতো ভাই মো. আব্দুর রহমানের কাছ থেকে জমিটি কিনেছি। গত কয়েকমাস পূর্বে আমি বাড়ি নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করলে প্রতিপক্ষরা জমি পাবে দাবি করে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দায়ের করেছে। সবখানে তারা হেরে গেলেও বারংবার তারা নতুন অভিযোগ দাড় করায়। এখন আবার নতুন করে মামলা করেছে আমার প্রতিপক্ষরা। আমার লাখ লাখ টাকার জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে, আমি রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে এর প্রতিকার চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা নাছির পাটওয়ারীসহ আরো অনেকেই বলেন, উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে হুমায়ুন কবির আজগরকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা মনেকরি রাষ্ট্রে প্রচলিত আইনকানুনকে শ্রদ্ধা করা উচিত।
এনামুল হক বলেন, আমার ভাতিজাদের কাছ থেকে প্রবাসী আজগর সম্পত্তি কিনেছে। যাতে আমাদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে সালিশী বৈঠক রয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহআলম বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে কাউকে হয়রানী করাও অপরাধ। যেহেতু আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, যে পক্ষ সঠিকভাবে আদালতকে সম্মান করবে। সে আইনি সেবা পাবে।
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো : 






















