উন্নয়নে পিছিয়ে থাকলেও টোল আদায়ে এগিয়ে আছে ফরিদগঞ্জ পৌরসভা। ইজাড়াদারের দাবী এবং পৌরসভার চুক্তি নামার মধ্যে মিল পাওয়া যাচ্ছে না। ইজাড়াদার চুক্তিপত্রকে বৃদাঙ্গলী দেখিয়ে টোল আদায়ে অনিয়ম করে যাচ্ছেন। ভুক্তভুগিরা এটাকে চাঁদাবাজি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে পৌর টোল আদায় করা হচ্ছে। টার্মিনাল ছাড়া কোনো সড়ক বা মহাসড়কে টোল আদায় নিষিদ্ধ এমন নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও চাঁদপুর– লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তায় প্রতিদিনই আদায় করা হচ্ছে পৌর টোল। লোড আনলোড না করলেও দূরপাল্লার গাড়ি গুলোকে দিতে হচ্ছে টোল। এমনকি যে গাড়িগুলো ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ব্যবহার করছেনা না তাদেরকেও টোল দিতে বাধ্য করা হয়। টোল না দিলে গাড়ি আটকিয়ে রাখা হয়। এমনকি অশালীন কথা শুনতে হয় চালকদের।
সারা দেশে সড়ক বা মহাসড়কে পৌর টোল বন্ধে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে প্রজ্ঞাপন পাঠিয়েছে। কিন্তু এ নির্দেশনা অমান্য করে ফরিদগঞ্জ পৌর শহরের পাশে চলছে প্রকাশ্যে টোল আদায় করা হচ্ছে। চালকরা যাকে বলছে চাঁদাবাজি।
কয়েকজন চালক অভিযোগ করে বলেন, ‘পৌরসভায় কোনো লোড আনলোড না করলেও দিতে হচ্ছে ২০ টাকা। দূরপাল্লার ট্রাক, মিনি ট্রাক ও ভারী যানবাহন থেকে প্রতিদিনই পৌর রিসিটের মাধ্যমে টোল নেওয়া হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর সারা দেশে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলেও ফরিদগঞ্জে কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আবার জোরপূর্বক টোল আদায় শুরু হয়েছে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হয়রানির শিকার হতে হয়। আমাদেরকে গালাগালিও করে।’
ইজারাদারের চুক্তিপত্রের ৩ নম্বর লাইনে স্পষ্ট লেখা আছে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ছাড়া সড়ক বা মহাসড়ক থেকে কোনো ধরনের টোল আদায় করা যাবে না। কিন্তু বাস্তবে এর সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। টোল আদায়কারী শ্রমিকরা বলছে পৌরসভা থেকেই বলা আছে এখানে টোল নেওয়া যাবে।
অন্যদিকে ইজাড়াদার ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন শিপন বলেন-“আমরা নিয়ম মেনেই টোল আদায় করছি। চুক্তিপত্রে কোথাও লিখা নেই লোড আনলোডের বিষয়। তবে হ্যাঁ আমরা অনিয়ম করছি ভাটিয়ালপুর থেকে টোল আদায় করছি।”
ফরিদগঞ্জ পৌর প্রশাসক সেটু কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নুরুল ইসলাম ফরহাদ : 






















